ঝিনাইদহের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার মানুষ নেই

  24-06-2017 01:09PM


পিএনএস, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে ভূমিহীন হতদরিদ্র মানুষের পুনর্বাসনের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকার লোক মিলছে না। ৬শ’ ৯৭টি ইউনিট ফাঁকা পড়ে আছে। আবার নির্মাণের পর সংস্কার না হওয়ায় অনেক ইউনিট বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে।

জেলা প্রশাসকের অফিসের এক সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলায় ২৫টি আশয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১৩টি, শৈলকুপা উপজেলায় সাতটি, মহেশপুর উপজেলায় দুটি, কোটচাঁদপুর উপজেলায় একটি, হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় একটি ও কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি রয়েছে। এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট নির্মিত ব্যারাক সংখ্যা ৩০২টি এবং ইউনিট সংখ্যা ২৮শ’ ২৫টি। আর পুনর্বাসিত পরিবারের সংখ্যা ২১শ’ ২৮টি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে পুনর্বাসিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নির্মিত আশ্রয়ণের পুনর্বাসিতদের এলাকায় কাজের অভাব আছে। এমন সব আশ্রয়ণে পুনর্বাসনের লোক পাওয়া যায় না। ঘর ফাঁকা পড়ে আছে।

শৈলকুপার কাকুড়েডাঙ্গা আশ্রয়ণ ছেড়ে আসা একজন বলেন, পরিবেশ খারাপ হওয়ায় তিনি ছেড়ে এসেছেন। পাশে নিজ টাকায় টিনের ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন।

দুধসর আশ্রয়ণের বাসিন্দা স্বপন ব্যাধ বলেন, নির্মাণের পর সংস্কার না করায় অনেকগুলো ঘরের টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। বর্ষাকালে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। টয়লেট ভেঙে গেছে।

ঝাউদিয়া আশ্রয়ণের সিরাজ আলি বলেন, থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই।

অপরদিকে শহরের আশেপাশের আশ্রয়ণে থাকার লোকের অভাব নেই। ঝিনাইদহের ঝিনুকমালা, পূর্বাচল, ছায়ানীড়, মুক্তাঙ্গন, ধানসিড়ি ও সূর্যোদয় আশ্রয়ণে কোনো ঘর ফাঁকা নেই। আবার নবগঙ্গা আশ্রয়ণে ৩০০ ইউনিটের মধ্যে একশ’ ৬৬টি ফাঁকা পড়ে আছে। শৈলকুপার ঝাউদিয়া আশ্রয়ণে ৬৪ ঘর ফাঁকা পড়ে আছে। ফাঁকা পড়ে থাকা ইউনিটগুলো নষ্ট হচ্ছে।

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন বলেন, ফাঁকা ইউনিটগুলোতে ভূমিহীন যাচাই-বাছাই করে পুনর্বাসিত করা হবে। তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন