বীরগঞ্জের আত্রাই নদীতে সেতু নির্মানের দাবী

  18-07-2017 10:13PM

পিএনএস, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জের উত্তর সীমান্তে আত্রাই নদীর উপর সেতু নির্মানের দাবী উঠেছে। চার জেলার লাখ লাখ মানুষের নদী পারাপারের মাধ্যম নৌকা আর বাশেঁর সাঁকো।

দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী সহ ৪ জেলার মধ্যে সেতু বন্ধনের দ্বার উন্মোচন দাবী উঠেছে। উপজলোর উত্তর সীমান্তে শতগ্রাম ইউনিয়নের ঐকিহৃবাহী ঝাড়বাড়ী বাজার চৌরাস্তার মোড় থেকে আত্রাই নদীর খেয়াঘাট পার হয়ে পূর্বে নীলফামারী ১৭ কিলোমিটার, আত্রাই নদীর পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও ২২ কিলোমিটার, দক্ষিনে দিনাজপুর জেলা শহর ৩০ কিলোমিটার ও উত্তরে পঞ্চগড় জেলা সদর ২১ কিলোমিটার এই চার জেলার মানুষ উৎপাদিত কৃষি পণ্য বা গৃহপালিত পশু নিয়ে ঐতিহৃবাহী বীরগঞ্জ পৌরসভাহাট (দিনাজপুর), গোলাপগঞ্জ (দিনাজপুর), কাহারোলহাট (দিনাজপুর), বোচাগঞ্জহাট (দিনাজপুর), লাহেরীহাট (ঠাকুরগাঁও), বালিয়াডাঙ্গীহাট (ঠাকুরগাঁও) ও গড়েয়াহাট (ঠাকুরগাঁও)সহ বিভিন্ন নামকরা হাটে যেতে অনেক পথ পেড়িয়ে শতশত কিলোমিটার অতিক্রম করে হাটগুলোতে কৃষি পণ্য বা গৃহপালিত পশু নিয়ে পৌছাতে হয়। এতে দীর্ঘ সময় ও অর্থ ব্যায় হয়।

বিশেষ কারনে অনেকে হাটে পৌছার আগে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ এলাকার মানুষের শত বছরের কাঙ্কিত আত্রাই নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করা হলে ১০০ কিলোমিটার পথ কমে মাত্র ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার দুরত্বে কম খরচে কৃষি পণ্য বা গৃহপালিত পশু কেনা-বেচা করা সম্ভব বলে ভোক্তভোগি মানুষের মতামত। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে প্রবল ¯্রােতের মধ্যে খেয়া নৌকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষকে পারাপার হতে হয়। আত্রাই নদী পারাপার হতে নৌকা ডুবির অনেক নজির রয়েছে।

অথচ সেতু নির্মাণ হলে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, খানসামাসহ ঠাকুরগাঁও গড়েয়া হাট, নীলফামারী সদর উপজলোর নীলসাগর দীঘি, ভবানীগঞ্জ হাট এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি ওই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ সরাসরি আসা-যাওয়া করতে পারবেন। এতে সহজ এ হয়ে উঠবে শিক্ষা, চিকিৎসা, বানিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন। স্থানীয় বলদিয়া পাড়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি সপ্তাহে দুইদিন ভবানীগঞ্জ হাট করি। এতে করে রাতের বেলায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। ভবানীগঞ্জের আলু ব্যবসায়ী রহিমুল ইসলাম বলেন, রবিবার ও বুধবার গড়েয়া হাট করি। তবে বর্ষার সময় রাতে ঘাটে নৌকা পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়।

ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসমিন আল বারী সাংবাদিকদের বলেন, ঠাকুরগাও জেলা শহর থেকে ঝাড়বাড়ী হয়ে নদীর জয়গঞ্জ ঘাট দিয়ে নীলফামারী জেলার সাথে ব্রিটিস আমল থেকেই যোগাযোগ ছিল। এ কারণেই উভয়দিকের রাস্তাটিও অনেক প্রসস্থ। এ এলাকায় বর্তমানে নীলসাগর নামে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। তবে সেতু নির্মান হলে নদীর দু-পারের হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি যোগাযোগসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে।

খানসামার আলোকঝাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম আতাউর রহমান বলেন, এই জয়গঞ্জ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়। এখানে সেতু নির্মিত হলে এ অঞ্চলের বড় বড় হাটগুলোর পন্যসামগ্রী সহজে অন্যত্র যেতে পারবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন