পিএনএস ডেস্ক : বাল্যবিয়ের ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ডে বাসর ঘর নয়, বরের ঠাঁই হল শ্রীঘরে। সহকারী কাজীও গেল তার সঙ্গে। আর ইউএনও-এর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।
বুধবার রাতে উপজেলার রাজারভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারে বর আলমগীর হোসেন (২২) ও সহকারী কাজী বাবলু মিয়াকে এক মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। চিলমারী থানার এসআই মশিউর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল থেকেই রাজারভিটা এলাকার মনু মিয়ার মেয়ে রাজারভিটা মহিলা আলিম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী মনিরা খাতুনের সাথে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বিশ্বস্বর এলাকার বজলার রহমানের ছেলে অটোচালক আলমগীর হোসেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় বিয়ে বাড়িতে বর এসেও হাজির। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানতে পেরে চিলমারী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান বেগ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারপরই অঘটনের শুরু! বিয়ে বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এসময় বর ও কনে পক্ষ পালানোর চেষ্টা করলে চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার ও ওসি তদন্ত মো. রাজু সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ বর ও কাজীকে আটক করে।
পরে বর ও সহকারী কাজীকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান বেগ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত বর ও কাজীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পিএনএস/জে এ /মোহন
বাসর ঘর থেকে শ্রীঘরে বর!
20-07-2017 06:49PM