বরিশালের অ্যাডভোকেট সাজুকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার

  22-07-2017 04:46PM

পিএনএস, বরিশাল প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে আগৈলঝাড়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক সালমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় অ্যাডভোকেট সাজুকে সাময়িক বহিষ্কারের এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

গণভবনে উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।‘ এর আগে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় অংশ নিতে যাওয়া নেতারা ইউএনও তারেক সালমানের প্রসঙ্গ তোলেন।

এ সময় অ্যাডভোকেট সাজু সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা নেতাদের বলেন, ‘তার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিন।‘ ইউএনওর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী সাজু বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু লোক আওয়ামী লীগ হয়ে আমাদের দলে ঢুকে, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। তাই সবাইকে সাবধান হতে হবে। কাউকে দলে নেওয়ার আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত। তার উদ্দেশ্য কী, সেটাও ভালো করে জানা উচিত।

কারও বিষয়ে বিস্তারিত না জেনেও তাকে দলে নিয়ে পদ-পদবি পর্যন্ত দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে, এগুলো যারা করছেন, তারা অমার্জনীয় অপরাধ করছেন। মনে রাখতে হবে, তারা আসেন পদ নিতে, তারা পদ নিয়ে দলের ও সরকারের ক্ষতিই করবেন। সূত্রে আরো জানা গেছে,ভূমিদুস্যতায় মেতে উঠেছিলেন ‘চাটুকার’খ্যাত ওবায়দুল্লাহ সাজু।

বরিশাল নগরীতে নয়, উজিরপুরে গিয়ে শুরু করেন সরকারি জমি দখলের উৎসব। এমনকি তার দখলকৃত জমিতে বা জমির ব্যাপারে জানতে সাংবাদিকদের প্রতি ‘রেড এলার্ট’ জারি করেছিলেন। তার ভূমিদ্যুসতার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হযেছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক। ছবি তোলার অপরাধে মাটিতে আছার মেরে ভেঙ্গে ফেলেছিলেন ক্যামেরা। সাংবাদিক জহির খান’র ক্যামেরা ভাংচুর নিয়ে ভূমিদস্যুদের সাথে বাকবিতন্ডা করে। পরে ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারকে ও উজিরপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে থানা পুলিশকে পাঠান।

উজিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারী সম্পত্তির অবৈধ দখলকারী আইনজীবী ওবায়েদুল্লাহ সাজু ও তার সহচর আইনজীবী সাইফুল এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সবুজসহ ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সুপারিশে থানা পুলিশ আটককৃতদের সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন