বিলুপ্তির পথে বাঁশ শিল্প: বাঁশ পরুল খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে

  22-07-2017 08:15PM

পিএনএস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : বাঁশ আমাদের একটি প্রয়োজনীয় ও জীবন ধারনের বিশাল অংশ,বাঁশ দিয়ে ঘর-বাড়ি তৈরী ছাড়াও নানা ধরনের পণ্য তৈরি ও বিক্রি করে শত শত পরিবারের জীবন-জীবিকা আসছে। নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে এ কাজে যোগ দেওয়ায় প্রতিটি পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।

বাঁশ সঙ্গে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। দেশের অধিকাংশ মানুষের দিন শুরু হয় বাঁশ কাটা, ও বাঁশ দিয়ে নানা রকম পণ্য তৈরির কাজ। বাঁশ তীক্ষ ফলায় কখনো কখনো কখনো হাতের তালু ক্ষত হয় বাঁশ শ্রমিকদের, সেই ক্ষত একসময় শুকিয়ে যাওয়ার পর আবার শুরু হয় বাঁশ নিয়ে সংগ্রাম, হয়তো বা তাদের সেই বাঁশ নিয়ে সংগ্রাম বেশিক্ষন স্হায়ী হবেনা। বাঁশ এখন মাছ,মাংসের সাথে রান্নার চুলাই উঠে এসেছে। বর্ষা মৌসুম হচ্ছে বাঁশের ডেম দেয়া বা নতুন বাঁশ গজানোর সময়।

প্রতিবছর কোটি কোটি বাঁশ তরকারী হিসেবে মানুষের পেটে যাওয়ার কারনে উখিয়া উপজেলায় বাঁশ বাগান এখন শুন্যের কোটায়। বর্তমানে পাহাড়ি অঞ্চলের বাঁশের কচি ডেম স্হানীয় ভাষায় বাঁশপরুলে সয়লাব হয়ে গেছে উখিয়ার হাট-বাজার ১০/ ১৫ টি কচি বাঁশের ডেম দিয়ে হয় এক কেজি, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ডেম বিক্রি হচ্ছে ২৫/৩০ টাকায়।

বর্তমান বাজারে প্রতিটি বাঁশ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা,যার হিসাবে প্রায় হাজার টাকা দাঁড়াবে। বাঁশ কে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করার করনে গ্যারেস্তালী কাজে যেমন বাঁশের ব্যবহার কমে এসেছে, তেমন বাঁশের অস্হিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে উখিয়ার প্রত্যান্তঞ্চলে। দিন মজুর আলী আহমদ বলেন আমাদের মত অনেক দিন মজুর অন্যের বাড়িতে বাঁশের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা ছাড়াও বাঁশের তৈরী সরঞ্জাম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে শত শত শ্রমিকরা,বর্তমানে বাঁশের অকাল দেখা দেয়ায় এলাকায় বাঁশের ব্যবহারও কমে এসেছে। বাঁশের বিভিন্ন পন্য বিক্রেতা নাজির হোসেন বলেন, সপ্তাহের হাটের দিন এ সব বাঁশের পণ্য বাজারে বিক্রি করে থাকি কিন্তু বাঁশকে মানুষ তাদের সু-স্বাদু খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করায় প্রয়োজন মত বাঁশ মিলছেনা যার কারনে বাঁশের তৈরী নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া।

একটি বাঁশের দাম ৫০-১০০ টাকা হলেও বাজার খাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এ বাঁশ দিয়ে নানা আইটেমের চাটাই, টুকরি, ডালা, কুলা, ঝাঁকা, ডরি, পারন, টাইল, উকা, খালুই, ঘেরা,টেংরা,সহ বাড়ি, ঘর ইত্যাদি তৈরি করে আসছেন। সংসারের গতি সচল রাখতে অনেক স্থানে নারীরাই এই কাজের ভার কাঁধে নিয়েছেন। সচেতন মহলে অভিমত সু-স্বাদু খাদ্যের নামে বাঁশ ধ্বংশ বন্ধ করতে হলে কচি বাঁশের ডগা (বাঁশ পরুল) নিধন বন্ধ করতে হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন