শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী নেই, উপস্থিতি শতভাগ!

  23-07-2017 05:22PM

পিএনএস,খুলনা:খুলনার পাইকগাছার পল্লীতে বাস্তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী না থাকলেও কাগজে কলমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শতভাগ। শুধু তাই নয় জালিয়াতি করে নিয়মিত দু’শিক্ষক সরকারি বেতন ভাতাও ভোগ করছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের ১৯৯০ সালে বাহিরবুনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামে স্থানীয় শহিদুল ইসলাম ৫২ শতক জমি দান করেন। দীর্ঘ ২৭ বছরের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। সম্প্রতি বাহিরবুনিয়ার একটি খালের উপর কয়েকটি খুঁটি পুঁতে উপরে টিনের ছাউনী দিয়ে রাখা হয়েছে। চালের নিচে ও খুঁটির চারিপাশে থৈ থৈ পানি।

অথচ খাতা কলমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চলছে এমন প্রতিবেদন তৈরী করে বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। দেখানো হয়েছে ২৫১৮ ফুটের ৪টি শ্রেণীকক্ষ। সুপার শহিদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, সাইয়েদুর রহমান, ওয়াজেদ আলী ও আনোয়ারা বেগম। ৫জন শিক্ষকের মধ্যে সুপার শহিদুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা খাতা কলমের যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

মাদরাসায় প্রথম শ্রেণীতে ২০, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১৬, তৃতীয় শ্রেণীতে ১৭, চতুর্থ শ্রেণীতে ১৭ ও পঞ্চম শ্রেণীতে ২৪জন ছাত্র-ছাত্রী দেখানো হয়েছে। যাদের উপস্থিতি দেখানো হয়েছে শতভাগ। শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় একই ব্যক্তি হাজিরা উঠিয়েছে বলে দেখা যায়। অথচ কোনো শ্রেণীতে কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। নেই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শ্রেণীকক্ষ। খাতা কলমে সবকিছু ঠিক-ঠাক দেখিয়ে দু’জন শিক্ষক ওয়াজেদ আলী গাজী ও আনোয়ারা বেগম সরকারি বেতনভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম গাজী সহ স্থানীয় অনেকের অভিযোগে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়েছে।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন