কুলাউড়া পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাগবে মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান

  23-07-2017 09:49PM

পিএনএস : বন্যাকবলিত মৌলভীবাজারে কুলাউড়া পৌর এলাকা এখনো অপরিকল্পিত শহর।পৌরবাসীর জীবন এখন নাকাল। পৌর এলাকার সাদেকপুর, বেহেলা, সোনাপুর, উত্তর কুলাউড়া, আউটার, আহমদাবাদ এলাকাসহ প্রায় পৌরবাসীর জীবন এখন নাকাল।

অল্প বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রতি বছর।বিগত মেয়রের অপরিকল্পিত কাজে বর্তমান বেহাল দশায় ভোগছেন এলাকার মানুষ।পৌর এলাকার রাস্ত-ঘাটের অবস্থা বেহাল দশা। প্রতিবছর বন্যাকবলিত হলেও পৌর কতৃপক্ষের অবহেলায় জনজীবনে আজ দুর্ভোগ চরমে।

বর্তমান মেয়রের কাছ এক নং ওয়ার্ডের সাদেকপুর, বিহালা, সোনাপুর গ্রামবাসী তাদের কষ্ট লাগব করতে এক স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে সাদেকপুর, বিহালা ও সোনাপুর গ্রামগুলোর প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে কাঁচা ও পাকা রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে বন্যা হলে রাস্তার উপরে দেড়-দুই ফুট পানি থাকে, পায়ে হেঁটে বা যানবাহনেও চলাচল অসম্ভব।তিনটি গ্রামে লোকসংখ্যা প্রায় দশ হাজারেরও বেশি।

এছাড়া এখানে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ইসলামী ক্যাডেট মাদ্রাসা, চারটি কেজি স্কুল, একটি মহিলা ডিগ্রী কলেজ । প্রতিটি জনগুরুত্বপূর্ণ।এছাড়া এই রাস্তাগুলো দিয়ে শুধু তিনটি গ্রামের লোক যাতায়াত করে না। কাদিপুর ইউনিয়নের মৈন্তাম, তিলকপুর, গুপ্তগ্রাম, ফরিদপুর, ভাগমতপুর ইত্যাদি গ্রামসহ ভূকশিমইল ইউনিয়নের হাজারো মানুষ যাতায়াতের মাধ্যম এই রাস্তা। রাস্তাগুলো যেমন সরু (পার্শ্বে কম) তেমনি উচ্চতাও কম বিধায় স্বাভাবিক পানি হলেও রাস্তাগুলো ডুবে যায় এবং চলাফেরার অযোগ্য হয়ে পরে। রাস্তা-ঘাটের করুণ দশার কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে পারে না, দৈনন্দিন প্রয়োজনে শহরে লোকজন আসতে পারে না এবং কোন মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য শহরে আসা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অল্প বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে এলাকার মানুষ বলেন পানি লেভেল থেকে রাস্তাগুলো কমপক্ষে ২(দুই) ফুট উচ্চতায় নির্মাণ করলে রাস্তা পানির নিচে যাবে না। পৌর মেয়রের কাছে এলাকার মানুষের দাবি পরিকল্পিত ভাবে এ রাস্তাগুলো নির্মাণ করা হলে পৌরসভার এক নং ওয়ার্ডবাসীর কষ্ট লাগব হবে।বিগত সময়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তার কাজ করিয়েছেন, যে কারণে বর্তমানে দূর্ভোগের শিকার এলাকার মানুষ।

ওয়ার্ডবাসীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবেন বলে পৌর মেয়র আলহাজ্জ্ব শফি আলম ইউনুস বলেন আপনাদের যৌক্তিক দাবি পূরণে আমি সরকারে পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি এলাকার মানুষের কাছে একটি দাবি আছে বলে জানান আপনারা আমাকে ৮০ কর আদায়ে সহযোগিতা করতে হবে।ওয়ার্ডবাসীর পক্ষে খন্দকার মুজিবুর রহমারে উদ্যেগে কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে এলাকার প্রায় দেড়শ মানুষ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
পিএনএস/জে এ মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন