চট্টগ্রাম সড়কে চলতে নৌকা কিনলেন কর্মকর্তারা

  24-07-2017 01:42AM

পিএনএস ডেস্ক: বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই ডুবছে সড়ক। জোয়ার এলেও সড়ক পানির নিচে। ফলে নগরবাসীর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যাওয়া-আসায় দেখা দেয় ভোগান্তি। গাড়ি থাকলেও পানিতে তা অচল। বাধ্য হয়ে সড়ক পথেই চলাচলের জন্য একটি নৌকা কিনেছে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই বাস্তব। শুধু কি নৌকা কিনেছেন, বরং এখন সেই নৌকায় অফিসও করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ-১ নম্বর সড়কে হাতেখড়ি স্কুলের বিপরীতে কর অঞ্চল-৪ এর কার্যালয়। সেখান থেকে আগ্রাবাদ মূল সড়কের কাছে ভ্যাট অফিসের কাছে যাওয়া আসার কাজেই এ নৌকায় যাতায়াতের সুবিধা নিচ্ছেন কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পাশাপাশি আয়কর দিতে আসা নাগরিকদেরও এই নৌকায় চড়তে দেখা যায়।

রোববারও আগ্রাবাদ এলাকায় টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

কর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, এ এলাকার জলাবদ্ধতা শুধু বৃষ্টির কারণে নয়, রৌদ্রোজ্জ্বল দিনেও জোয়ারের পানিতে সড়ক ডুবে যায়।

অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রহিম ম্যানশনের ছয়তলা ভবনটির সামনের সড়কটি নিয়মিতই কোমর থেকে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়।

ওই অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার প্রায় প্রতিটি সড়কের নিয়মিত দৃশ্য এটি। কোনো সড়কে কোমর পানি, কোনোটিতে হাঁটু পানি ওঠে।

ওই এলাকায় কর্মরত সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় নেমে সিডিএ এলাকার ভ্যাট অফিসের সামনে এসে পানির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা নিতে হচ্ছিল।

প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দুই সপ্তাহ আগে লাল রঙের নৌকাটি কেনার কথা স্বীকার করেন কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার আহমেদ উল্লাহ।

তিনি বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও করদাতাদের আসা-যাওয়াসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এজন্যই নৌকাটি কেনা হয়েছে।”

কর কর্মকর্তারা জানান, দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে প্রায়২৬ হাজার টাকায় নৌকাটি কেনা হয়। যাত্রী নেওয়ার পর নৌকাটিকে কর অফিসের একজন দারোয়ান ঠেলে অথবা দাঁড় বেয়ে চালিয়ে নিয়ে যান।

আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় বিভিন্ন ভবনে চট্টগ্রামের আয়কর বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিতই এ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন