পাইকগাছায় ভেসে গেছে গেছে কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের

  24-07-2017 04:31PM

পিএনএস, পাইকগাছা: অমাবস্যার প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপে আর ভারী বর্ষণে খুলনার পাইকগাছার নদ-নদীতে ব্যাপকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক দিনের টানা ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার নির্ম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের, পুকুর, জলাশয়ের মাছ ও চিংড়ি ভেসে গেছে। আমন ধানের বীজতলায় হাটু পানি, আর ক্ষেতের ফসল তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

দিশেহারা হয়ে পড়েছে মৎস্য চাষীসহ কৃষক। ঘাটতি পূরণে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বীজ সরবরাহ না করা হলে কোনো ক্রমেই আমনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের চিংড়ি ঘের মালিক ও কৃষকদের মাঝ থেকে জানাগেছে, নিম্নচাপের কারনে কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে মিষ্টি পানির পুকুর, জলাশয়, হাজার-হজার বিঘার লবণ পানির চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

অন্যদিকে অতি বৃষ্টিতে কৃষি ক্ষেত-খামারসহ আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নির্ম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কোথায়ও-কোথায়ও জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এমন খবর পাওয়া গেছে। অনেক ঘের মালিক ও কৃষক অভিযোগ করেছেন অসাধু কিছু ঘের মালিক স্লুইচ গেট নিয়ন্ত্রন করে কৃত্রিম জোয়ার সৃষ্ঠি করে ক্ষতি ডেকে আনছেন বলে এমন তথ্যদিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছেন, অতি বৃষ্টিতে হরিঢালী, কপিলমুনি, গড়ইখালী, দেলুটিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ১শ হেক্টরের অধিক আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ আরোও বৃদ্ধির কথা জানিয়ে এ দপ্তরের দায়িত্বশীলরা বলেছেন, চলতি আমন মৌসুমে আর বীজের ঘাটতি পূরণের সম্ভবনা নেই। তবে তাঁরা কৃষকদের টিনের গোলা বা বাড়ীতে সংরক্ষিত ভোজধান থেকে বীজতলা বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে ব্যবসাবাণিজ্যেও বিরুপ প্রভাব পড়েছে।

শ্রমজীবী মানুষরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যিক উপশহর কপিমুনি বাজার প্রায় দেড় বছর ধরে উন্নয়ন কাজ চলছে। আর এ কারনে বাজারে বিভিন্ন স্থানে খুড়াখুড়ি করায় কাদা-পানিতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের। এদিকে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভাংঙন কবলিত নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ অজানা আশঙ্কায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন