আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ উধাও!

  25-07-2017 04:57PM

পিএনএস, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : আকাশে মেঘ জমলে এবং সামান্য বৃষ্টি বাতাসেই গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ উধাও!। আবার সে বিদ্যুত কমপক্ষে দু’থেকে তিন ঘন্টা পর আসে। আর রাতে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ইদানিং ঘন ঘন বিদ্যুৎ ট্রিপ করা একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবস্থা এমন যে ১ ঘন্টায় ২ থেকে ৩ বারও বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। আর এ অবস্থা চলছে সারা দিনরাত। সেইসাথে রয়েছে লো-ভোল্টেজ সমস্যা। ফলে বিদ্যুৎ সংকটে বিপন্ন গাইবান্ধার মানুষ। অথচ কোন প্রতিকার নেই।

সীমাহীন এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ফ্রিজে রাখা খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধপত্র নষ্ট হচ্ছে। তদুপরি বাল্ব, ফ্যান, ফ্রিজ, কম্পিউটার এবং ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জনজগণ দুর্ভোগের কবলে পড়েছে। স্বাভাবিক অবস্থাতেও প্রতিদিন দিনে এবং রাতে শুধু শহর এলাকাতেই ৪ থেকে ৫ বার ১ থেকে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং জনিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট সংঘটিত হচ্ছে। এছাড়া মেঘ-বৃষ্টি-ঝড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ বার পর্যন্ত বিদ্যুৎ ট্রিপ করে। অথচ বিদ্যুতের এই সমস্যা সংকট নিরসনের দাবিতে সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এব্যাপারে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংকট আরও মারাত্মক।দিনে এবং রাতে লোডশেডিং জনিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরিমাণ আরও বেশি বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন লক্ষ্মীপুর এবং বালাসীঘাট ফিডারটি অনেক বড় হওয়ায় ওই ফিডারভুক্ত গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট অত্যান্ত বেশী।

গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২২ থেকে ২৪ মেগাওয়াট। কিন্তু সেখানে পলাশবাড়ির গ্রিড লাইন থেকে দিনে ১৬ থেকে ১৭ মেগাওয়াট এবং রাতে বিশেষ করে পিক আওয়ারে ১২ থেকে ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে সংগত কারণেই গ্রামগুলোতে লোডশেডিং করে শহর এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে ঘাটতির সময়গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি কবে নাগাদ হবে এব্যাপারে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগও নিশ্চিত তা বলতে পারে না।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন