ডিমলায় আশরাফ সিকদারের খাঁটি রসগোল্লা!

  25-07-2017 08:33PM

পিএনএস, ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধি : বাবার অভাবের সংসারের হাল ধরেন আশরাফ সিকদার, দেশের বিভিন্ন নাম করা হোটেল রেস্তোরায় মিষ্টি বানানোর কারিগর হিসেবে জীবন তালিকার বিশেষ কিছু সময় পার করার পর মনের ইচ্ছা ও কামনা শক্তি পূঁজি করে যৎ সামান্য টাকায় ফুতপাতে নিজ হাতের তৈরী রসগোল্লার হাড়ি নিয়ে বিক্রি করতেন তিনি, এখন তার নাম ডাক দেশ জুড়ে।

আশরাফ সিকদারের খাঁটি রসগোল্লা এখন সবার মুখে মুখে। এ অদম্য কারিগরের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ১০ নং পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন-এর ৭ নং ওয়ার্ডে। বাবা মোহাম্মদ আলী মৃত্যুর পর ’মা’ সহ ৯ সদস্য রুজি-রোজগারের মাধ্যমে হলো রসগোল্লার দোকান। রসগোল্লা কিনতে আসা গ্রাহক মোঃ আজিজার রহমান, মধু মিয়া, আব্দুল মান্নান, হাশেম আলী, যাদু মিয়াসহ কথা হয় কৃষক মোঃ জাহান আলীর সঙ্গে, তারা বলেন দেশের অনেক জায়গায় কাজ করতে যাই, সেখানেও মিষ্টি খেয়েছি কিন্তু আশরাফ ভাইয়ের তৈরি মিষ্টির মত স্বাদ পাইনা।

এ ব্যাপারে কথা হয় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল লতিফ খানের সাথে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন আশরাফ ভাই আমাদের অহংকার। তার মিষ্টি একবার যে মুখে দিয়েছে তার প্রশংসা তাকে করতে হবে। তার দোকানে পাওয়া যায় চমচম, পন্স, মিষ্টি ও রসগোল্লা।

আশরাফ শিকদারে নিকট দৈনন্দিন কত কেজি করে মিষ্টি বিক্রি হয় এবং দুধ সংগ্রহের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন যদিও গ্রামের হাট বাজার তার পরেও বহু দুর-দুরান্ত থেকে গ্রাহক আসে। এতে ৮০ থেকে ১২০ কেজি করে বিক্রি হয়। পাইকারী ও খামাড়িদের কাছ থেকে ৫০ টাকা দরে দুধ সংগ্রহ করি।

যদি কোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পাশে দাড়াতো তাহলে আজকের এই ছোট পরিসরে দোকানটি বড় করার সহায়ক হতো। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের দাম অনুপাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আশার হাল ছারি নাই। একদিন না একদিন দোকান বড় হবেই।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন