ডিমলা পানি বন্দি কয়েক ইউনিয়নের মানুষ

  12-08-2017 09:54PM

পিএনএস, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : গাছপালা, ফসলি জমি, বাব-দাদার ভিটা তলিয়ে গেছে পানির নিছে। টানা ৩ দিনে টানা বর্ষনে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যায়। পানি বন্দির কবলে পরে সরকারি চকুরীজীবি হতে কর্মজীবি মানুষের দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে এবং কয়েকটি গ্রাম পানি বন্দি হয়ে পরেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে পরেছে। কিছু কিছু এলাকায় পানিবাহীত রোগের আসংখ্যা দেখা দিয়েছে। স্কুল, কলেজে, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, মাঠ ঘাট পানিতে থৈ থৈ করছে, কোনটি নদী, কোনটি উঠান তা নির্ণয় করা দুষ্কর হয়ে পরেছে।

এরই মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ভাবে ভারতের সামিলাবাস এলাকা হতে আসা বুড়া তিস্তা ও টারুদাহ নদী বন্যায় ভরপুর হলে বালাপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজিজার রহমান ও আকবর আলীর ৩নং ও ৫নং ওয়ার্ড, টেপা খড়িবাড়ী, খাগা খড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন এর ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী ১নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিন ঝুনাগাছ চাপানী ৪নং ওয়ার্ড হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দিহয়ে পরে। সেই সাথে অনেক মৎসচাষীদের প্রজেক্ট বন্যায় বিলিন হয়ে গেছে। মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে মোঃ মজিদুল ইসলাম, মন্তাজ উদ্দিন, আজগার আলী, ইউপি সদস্য ছলেমান গণি, জিকরুল ইসলাম, জামেদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, আঃ কুদ্দুস, তহিদুল ইসলাম, রশিদুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায় ভাই আমরা পথে নেমে গেলাম!! আগামী দিন গুলোতে পরিবার পরিজনকে নিয়ে কোথায় যাব তা বলে বুঝাতে পারছিনা।

এদিকে বন্যা শুরু এবং পরবর্তী সময় বন্যার দুর্গত মানুষের জন্য ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা কি পদক্ষেক নিয়েছেন তা জানাতে চাইলে ডাঃ মোঃ সারোয়ার আলম প্রতিবেদকে জানান ইতি মধ্যে আমরা ১০টি ইউনিয়নে ১০টি মেডিকেল টিম ও একটি অতিরিক্ত হাসপাতালের মেডিকেল টিম গঠন করেছি। সেই সাথে আমরা একটি মনিটরিং সেল যার কন্ট্রাক নং- ০১৭৩০-৩২৪৬৮৩ চালু রাখা হয়েছে। শনিবার সকাল হতে বন্যা পরিস্থিতি আলাদা আলাদা ভাবে পরিদর্শন করেন নীলফামারী-১ আসনে সংদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবু সালেহ, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিত কুমার বর্মন ও তার টিম।

অপর দিকে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াটার সেল সূত্রে শনিবার সকাল ৬ টায় পানির উচ্চতা ছিল ৫২.৬, বিকাল ৩টায় ছিল ৫২.৫৫ যা বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন