শ্রীমঙ্গলে ৪ বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, কুপিয়ে জখম

  19-08-2017 05:34PM

পিএনএস ডেস্ক : শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৌলাশীর গ্রামের জেলার মুজিবুর রহমান মুজিবের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।

এ সময় ডাকাতরা বাড়ির সবাইকে হাত, পা, চোখ ও মুখ বেঁধে নগদ ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫টি দামি মোবাইল সেট লুটে নিয়ে গেছে। এদিকে একই রাতে জেলার মুজিবের পার্শ্ববর্তী রমাকান্ত দেবের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ডাকাতরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। অন্যদিকে একই রাতে ভূনবীর ইউনিয়নের গর্ন্ধবপুর গ্রামের আরো দুই বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়।

ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় বৌলাশীর চা বাগানের মণ্ডপ ঘরের পাশ থেকে ডাকাত সন্দেহে নূর আলম (২৪) নামে একজনকে আটক করেছে। সে বাহুবল উপজেলার পূর্বজয়পুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, তার কাছ থেকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

মির্জাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার কানাই দেবনাথ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার মুজিবের পাকা ঘরের পেছনের দরজার লোহার এঙ্গেল ও জানালার গ্রিল ভেঙে প্রবেশ করে ৮/১০ জনের ডাকাত। প্রথমে মুজিবের বড়ভাই পঙ্গু বাদশা মিয়ার রুমে যায়। বাদশা মিয়ার স্ত্রীকে দিয়ে ছোটভাই হাবিবুরকে ডেকে তোলে ডাকাতরা তার রুমে ঢুকে বাড়ির ছোটবড় সব সদস্যকে একটি রুমে আটকিয়ে পা, চোখ ও মুখ বেঁধে জিম্মি করে রাখে।

তখন হাবিবুর নগদ টাকা ও স্বর্ণের তথ্য দিতে দেরি করায় মারধর করে। এদিকে একই রাতে আনুমানিক ৩টার দিকে বৌলশীর গ্রামের পার্শ্ববর্তী ভূনবীর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গর্ন্ধবপুর গ্রামের বাসিন্দা সিতু দে (৫৫) ও রাখাল দত্তর (৫০) বাড়িতে ডাকাতদল এক সঙ্গে হানা দেয়।

গরিব দিনমজুর রাখালের বাড়ি থেকে ২ হাজার টাকা নিয়ে গেলেও ডাকাতের অন্যদল সিতুর বাড়িতে পাকা ঘরের পূর্বদিকে মেইন দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী সুকান্ত দত্ত ঘর থেকে বের হয়ে আসলে ডাকাতরা তাকে মারধর করে পালিয়ে যায়।

মুজিবুর রহমানের ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জানালার গ্রিল ভেঙে মুখোশপরা ৮/১০ জনের ডাকাতদল তার ঘরসহ সহোদর ভাই ফারুক মিয়া, বাদশা মিয়া, মুজিবুর রহমানের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাড়ির সবাইকে বেঁধে একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ও পাঁচটি মোবাইল সেট লুটে নেয়।

ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কেএম নজরুল বলেন, রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার কালে এক ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় কারা কারা ছিল তা স্বীকার করেছে। তবে ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশি প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন