সু চি’কে গালাগালির ভিডিও ফেসবুকে; আটক ৩

  16-09-2017 12:22AM

পিএনএস ডেস্ক: মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ও সরকার সমর্থকদের সহিংসতা ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। প্রাণভয়ে তারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে ভয় দেখিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নামে গালাগালির ভিডিও ধারণ করেছেন তিন যুবক।

ধারণ করা ভিডিওটি তারা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর এ ঘটনায় শুক্রবার ভোরে অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আটক যুবকরা হলেন- বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামের করিম হাওলাদারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম মন্ডল (৩০), একই গ্রামের শের আলীর ছেলে কলেজছাত্র আমিন হোসেন (২৪) এবং দুর্গাপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে তৌফিক আহমেদ (৩২)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

রাঙ্গামাটি জেলায় জ্ঞানমিত্র নামের ওই ভিক্ষু গত বুধবার ভারত থেকে দেশে ফেরার পর বেনাপোল বাজারে ওই যুবকরা তাকে ভয় দেখিয়ে অং সান সু চির বিরুদ্ধে গালিগালাজ করতে বাধ্য করে এবং তা ভিডিও করা হয়। পর দিনই তিনি প্রাণভয়ে আবার ভারতে চলে যান।

ভিক্ষু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য এ বছরের মার্চে ভারতে যাই। গত বুধবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসি। বেনাপোল বাজারে পানি কিনতে একটি দোকানে গেলে আচমকা কয়েকজন যুবক আমাকে ঘিরে ধরেন। তারপর একটা গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যান তারা। হুমকি-ধমকির মুখে বার্মার নেত্রী ‘অং সান সু চির মতো নারী কখনো বৌদ্ধ নেতা হতে পারেন না। তিনি কুকুরের বাচ্চা...’ এসব গালিগালাজ করতে বাধ্য করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।’

ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ‘তুই’ সম্বোধন করে ওই ভিক্ষুকে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার জন্য দায়ী করে অং সান সু চি এবং সেখানকার উগ্রবাদী বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে বলা হয়। একপর্যায়ে তিনি ‘অং সান সু চির মতো নারী কখনো বৌদ্ধ নেতা হতে পারেন না। তিনি কুকুরের বাচ্চা...’ বলতে থাকেন।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ভোরে অভিযান চালিয়ে যাদের আইডি থেকে এই ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে, তাদের আটক করে পুলিশ।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনায় যে তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের একজন ছাত্র, অন্য দুজন ব্যবসা করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন