বেনাপোলের গা গ্রামেও শারদীয় উৎসবে নিপুণ আঁচড়ে গড়ে উঠছে প্রতিমা

  22-09-2017 03:14PM

পিএনএস, বেনাপোল : আর মাত্র কয়েকদিন পর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শার্শা বেনাপোলের বিভিন্ন পূজা মন্ডবে মৃতশিল্পিদের নিপুণ আঁচড়ে গড়ে উঠছে প্রতিমা। শেষ পর্যায়ে রং তুলির কাজ। মহালয়ার মধ্য দিয়ে নৌকায় দেবী দুর্গার আগমন ঘটেছে মর্ত্যলোকে। শার্শা উপজেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায়২৭টি মন্ডপে দূর্গাউৎস হলেও অর্থাভাবে শার্শার লক্ষনপুর ও ডিহি ইউনিয়নে প্রতিমা তুলতে পারেনি সখ্যালঘুরা। এখনও সরকারি বেসরকারি কোন সহযোগিতা পায়নি তারা। অনেক মন্ডবে রঙের আঁচড়ে পরম যত্নে মূর্তি গুলোতে অবয়ব দিতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন-ভাস্কররা।

শ্রী উত্তম কুমার স্বাধন দাস ও কৃষ্ণপদ পাল বলেন,বাঁশ-কাঠ আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি নিপূন কারুকায্যে খচিত প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্ম পূজারি ও দর্শনার্থরা। রং তুলির কাজ দেখেতে আসছেন অনেকে। তবে আর্থিক সমস্যার কারনে বড় পরিসরে পূজা করার সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি সহযোহিতা চান তারা।

দর্শনার্থী ও স্থানীয় সাগরিাকা পিয়া টিয়া, ও পূজা রানী বলেন,দুর্গা উৎসবে আনন্দিত তারা। ঘরবেন নতুন কাপড় পড়বেন পরিচয় হবে সহপাঠি বন্ধু ও স্বজনদের সাথে মজায় কাটবে দিন। করবেন পূজা আর্চন গাইবেন নাচবেন সময় কাটবে ভাল। এমনি চান তারা।

ভাস্কর রবীন পাল বলেন,মায়ের অবয়বে পরম আত্মায় চলছে রং তুলির কাজ কাজ ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা। এবার ১০টি স্পটে করছেন প্রতিমা তৈরীর কাজ। কয়েক লাখ টাকা উপার্জন হবে তাদের। এতেই সারা মাস সংসার চালাবেন তারা।

শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ-সাধারণ সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ দাস-ও বেনাপোল পাঠবাড়ী আশ্রম কমিটির যুগ্ন সম্পাদক সুকুমার দেবনাথ বলেন-উপজেলায় দূর্গাউৎসবের সকল প্রস্ততি সম্পূন্নের পথে,আইনশৃঙাখলা ভাল-প্রতিবারের ন্যায় উপজেলায় সর্বজনীন উৎসবে পালিত হবে দূর্গাউৎসব। তবে সরকারি সহযোগিতা বন্টনের চেষ্টা করছেন তারা। বিগত বছর গুলোর ন্যায় এবার কম হয়েছে দূর্গা মন্ডব। প্রশাসন সহ স্থানীয়দের সার্বিক সহযোগিতা চান তারা।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুস সালাম বলেন,দূর্গাউৎস সুন্দরভাবে পালনে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। দেওযা হয়েছে সরকারি বরাদ্ধ। কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন