পাইকগাছায় ফলজ ও বনজ বৃক্ষ নিধণ

  22-09-2017 03:56PM

পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় জমি দখল চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ নিধণ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন গোপালপুর গ্রামের মৃতঃ সবুর মোড়লের ছেলে হাবিবুর রহমান ও প্রতিবেশি মোসলেম মোড়ল গংদের মধ্যে বসতবাড়ির ৯ শতক জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে গ্রাম্য শালিস ও এমপি'র কাছে অভিযোগে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদসদের তদন্ত প্রতিবেদন বিপক্ষে যাওয়ায় প্রতিপক্ষের ফলজ ও বনজ বৃক্ষ নিধণ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হাবিবুর জানিয়েছেন তাঁর পিতা ১৯৭৬ সালে ৫এপ্রিল ১৮৭১নং কোবলা দলিলে গোপালপুর মৌজার এসএ খতিয়ান ৯, ডিপি খতিঃ ১২২, হাল জরিপে প্রকাশিত ৫২৪ দাগে ৯শতক জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে রয়েছেন। যার কর খাজনাও পরিশোধ রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন তাঁর প্রতিবেশি মোসলেম মোড়ল গংরা বিনা কারনে লাঠির বলে এ জমি দখল চেষ্টা করে এবং পিতা, দাদা দাদীর কবরাস্থানে লাগানো লাখ টাকার মূল্যবান আম, মেহগনি, শিরিশ গাছ কেটে নেয়। এ ঘটনায় হাবিবুর বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ৬আগষ্ট মোসলেম মোড়ল, খোদার আলী, উলফার, মজিদ, ইমদাদুল গংদের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মওঃকামাল হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

জানাগেছে গত বুধবার (২সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের নির্দেশনামতে ভাইস চেয়ারম্যান মওঃকামাল হোসেন তার দপ্তরে এ ঘটনায় তদন্ত সম্পন্ন করেন। হাবিবুর অভিযোগ করেন বেলা ২ টার দিকে বাড়ীতে ফিরে জিন্নাত, মোসলেম মোড়ল গংরা পেশি শক্তি বলে তাঁর দখলীয় জমি থেকে ২য় দফায় আম, মেহগনি, শিরিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পাল কেটে পুকুরে ফেলে দেয় এবং জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ জমির বিরোধ নিয়ে গ্রাম্য শালিসী সহ ইতোপূর্বে গদাইপুর, সোলাদানা ইউপি'র চেয়ারম্যান ও সর্বশেষ স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আঃ সাত্তার গত ১১ আগষ্ট তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন প্রতিপক্ষ বিবাদী মোসলেম মোড়ল গংরা গায়ের জোরে হাবিবুরের দখলে থাকা জিমতে দখলে যাবার চেষ্ঠা করেছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন