নাসিরনগরে স্কুল ছাত্রী খুন দুই মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামী

  22-09-2017 08:55PM

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর উপজেলার মোছাঃ শারমিন আক্তার (১৩)।সিংহগ্রাম বিজয়লক্ষী স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী ছিল সে। ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হওয়া। সেই আশা নিয়ে শুরু করে পড়াশুনা। কিন্তু ঘাতকরা তার সেই ইচ্ছা পূরণ হতে দেয়নি। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঘাতকরা তাকে নির্মম ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে। সে দিন ছিল ২৬ জুলাই। রোজ বুধবার। বেলা আনুমানিক ১০ ঘটিকায়। স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল শারমিন। এই সুযোগে খালি ঘরে ঘাতকের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় শারমিন। ঘটনাটি ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে।

জানা গেছে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর সাথে বাড়ীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ও আদালতে মামলা চলছিল শারমিনের পরিবারের। ঘটনার দিন একটি ৭ ধারা মামলা হাজিরা দিতে শারমিনের পিতা মোঃ তাউস মিয়া, মা মিনা বেগম, দাদা হাজী শফিউর রহমান,চাচা মোঃ মারুফ মিয়া চলে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজকোর্টে।

এই সুযোগে শুক্কুর আলীর ছেলে মোঃ ছোট্ট মিয়া তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে খালী ঘরে একা পেয়ে শারমিনের গলায় গামছা প্যাচিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দেখে ফেলে ওই ছাত্রীর দাদী মোছাঃ মরিয়ম বেগম ও নিহতের ছোট বোন ইয়ারমিন বেগম। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী স্বাক্ষীরা এসে জড়ো হয়।

খরব দেওয়া হয় থানা পুলিশকে। খবর পেয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মোঃ শওকত হোসেন, এস, আই কাউছার হোসাইন, সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের ছুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

পরদিন ওই ঘটনায় শারমিনের পিতা মোঃ তাউস মিয়া বাদী হয়ে ১।মোঃ ছোট্ট মিয়া (৩০), ২। কাদির মিয়া (২৫) ৩। শুক্কুর আলী (৫২) ৪। টেনু মিয়া ৫। মনছর আলী (৫৫) ৬। লিটন মিয়া (৩৫) সহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে পরদিন নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামীরা পালিয়ে গিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে বলে জানা গেছে। মামলার দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

আসামীরা এলাকার খুনী, সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল,মাদক ব্যবসায়ী ও ভয়ংকর প্রকৃতির লোক। তাদের নামে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে।

পরবর্তীতে মামলাটি পাঠিয়ে দেয়া হয় পুলিশের বিশেষ শাখা (পি,বি, আই) তে। এ বিষয়ে কথা হয় মামলার তদন্ত্রকারী কর্মকর্তা পি,বি,আই এর পরিদর্শক মোঃ সাজ্জাত হোসেনের সাথে। তিনি বলেন মামলার তদন্ত চলছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে।তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন