সাঁওতালদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হচ্ছে

  24-10-2017 02:07AM

পিএনএস ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনার পর উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের পুনর্বাসনের জন্য সেখানে অতি শিগগিরই তিনটি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। খুব দ্রুতই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ব্যারাক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

এই সাঁওতালদের পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ত্রাণ তহবিল থেকে বোগদহ আশ্রয়ণ, ফকিরগঞ্জ আশ্রয়ণ, ফুলহার-১ প্রকল্পের মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এসব প্রকল্পে কাজ শুরু করবে।

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) গৌতম চন্দ্র পালের লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানানো হয়। পরে আদালত এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের (ডিসির) লিখিত বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা মেরামতের প্রয়োজন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করা হয়। কর্মোত্তর জরিপ গ্রহণপূর্বক প্রকল্পগুলোতে সিআই সিট ব্যারাক নির্মাণের জন্য প্রকল্প পরিচালকের নিকট থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস আদালতকে আরও জানান, বন্যাপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকল্পগুলো পরিদর্শন ও প্রাথমিক জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। অতি শিগগিরই ব্যারাক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পসমূহের ব্যারাক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে বলে আদালতকে জানানো হয়।

সাঁওতালদের পুনর্বাসনে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা যাবে বলে বলে ডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের পুনর্বাসনে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তা জানতে চান হাইকোর্ট। এ বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকায় ওই সংঘর্ষে কয়েকজন সাঁওতাল নিহত ও পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এসময় সাঁওতালদের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন