প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের জুতা দিয়ে পেটানোর অভিযোগ

  16-11-2017 11:35PM

পিএনএস ডেস্ক: সাতক্ষীরা সদরের সাতানী ভাদড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে জুতা দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন অভিভাবকরা।

পরে কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল ও সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ সময় অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে বদলির দাবি জানান। তখন প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কর্মকর্তা অভিভাবকের শান্ত করেন।

অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত মঙ্গলবার টিফিনের পরে ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা চেঁচামেচি করছিল। এ সময় প্রধান শিক্ষক অফিস থেকে বেরিয়ে এসে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আমার ছেলে রাকিব, আর্জিনা ও সারিয়াকে জুতা দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। পরে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ঘটনাটি জানায়। এতে ফুঁসে উঠেন সকল অভিভাবক। আমরা প্রধান শিক্ষকের বদলিসহ শাস্তির দাবি জানাই।

কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল বলেন, অভিভাবকরা বিষয়টি আমাকে ফোনে জানায়। সেজন্য আজ আমি উপ-সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বিদ্যালয়ে যাই। সেখানে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন এবং সকলের কাছে ক্ষমা চান।

এছাড়া বিষয়টি নিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা করা হয়েছে। আগামী রোববার ওই কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ছেলে-মেয়েদের ভয় দেখানোর জন্য আমি জুতা তুলেছিলাম। কিন্তু কাউকে আঘাত করিনি।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, কোমলমতি শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে এমন ঘটনা কোনো শিক্ষক ঘটালে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন