কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় একজনের মৃত্যু!

  12-01-2018 08:38PM

পিএনএস, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাইলস্ অপারেশনের দুই ঘন্টার মধ্যে ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ নিজের কাঁধের দোষ অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতের আধারে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে হত্যাকে ধামাচাপা দিতে রফাদফার চেষ্ঠারও চালাচ্ছে তারা বলেও অভিযোগ রয়েছে।। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সদরের কালীগঞ্জ ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের কুদ্দুস সরকারের ছেলে হুমায়ুন সরকার পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারে (আরমান ডাক্তারের সেন্টার) চিকিৎসা নিতে যায়।

এ সময় তার স্ত্রী মর্জিনা আক্তার সীমা অভিযোগ করে বলেন, দুপুর সাড়ে বারোটায় আমার স্বামীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে আমার স্বামীর অনুরোধে ডাক্তারকে বলি চিকিৎসা যাতে ভালো হয়। পরে ডাঃ মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ডাঃ মাসুম এর সহযোগীতায় ৩০ মিনিটের মধ্যে পাইলস্ অপারেশন সম্পন্ন করে। পরে আমার স্বামীকে কেবিনে নিয়ে আসলে সে অসুস্থ্য হয়ে পরে। জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারকে ডাকলে তিনি নার্সকে একটি ইনজেকশণ পুশ করার র্নিদেশ দেন। ইনজেকশন দেয়ার পর রোগীর অবস্থ্যা আরো অবনতির হয়। তার কিছুক্ষন পরে ওই ডাক্টার ও নার্স মিলে আরো একটি ইনজেকশণ পুশ করে। ইনজেকশণ পুশ করা মাত্র রোগীর মুখ দিয়ে লালা(ফেনা) বের হতে থাকে। তার পর আমরা ডাকচিৎকার করলে ডাক্তারা আমার স্বামী হুমায়ুনকে বেড থেকে সড়িয়ে নিয়ে যায়। তাকে নাকি আইসিইউতে রাখতে হবে। আমাদের ধারণা হুমায়ুন অনেক আগেই মারা গেছেন। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের মিথ্যা কথা বলে আইসিইউতে রাখেন।

পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ডাক্টাররা বিষয়টি দামাচাপা দেয়ার জন্য ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে একটি এম্বুলেন্স এনে জরুরী ভিত্তিতে আমার স্বামী হুমায়ুন সরকারকে টঙ্গির ক্যাথারসিস হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান সে অনেক আগেই সে মারা গেছেন। এ দিকে কালীগঞ্জ ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারে ডাক্টারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে তালা মেরে সবাই পালিয়ে যায়। আরো জানা যায়, এক সন্তানের জনক মৃত হুমায়ুন সরকার উপজেলা যুব দলের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ পৌর সভায় কর্মরত ও হাসপাতালের ম্যনেজার মোশাররফ হোসেনের নিকট মোবাই ফোনে বিষয়টি যানতে চাইলে সে স্থানীয় সাংবাদিকদের বসেন আসতেছি। তার পর একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।

আরো জানা যায়, গভীর রাতে হুমায়ুনের বাড়িতে গিয়ে তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন লাখ টাকার বিনিময়ে উপজেলা যুব দলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন সরকারের লাশের দাম দিয়ে তার পরিবারের সাথে মিটকরার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই রাতেই কালীগঞ্জ থানার এসআই আলাল উদ্দিন মৃত ঃ হুমায়ুনের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। নিহতের বড় ভাই হারুন সরকার, ভগ্নীপতি তারাজ উদ্দিন, ভায়রা ভাই সোলেমান হোসেন ফ্লাঞ্জি এই ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর জন্য দায়ী চিকিৎসকের বিচারের দাবি জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট।

এ দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ ফজলুল হক মিলন নিহতের নামাজে জানাযায় শরীক হয়ে মৃতের শোকসপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সহানুভুকি কামনা করেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন