দিনাজপুরে শীতের পিঠা’র জমজমাট ব্যবসা

  13-01-2018 09:56AM


পিএনএস, দিনাজপুর: উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুররে শীতের তীব্রতাকে হার মানিয়েছে শীতের পিঠা। প্রচণ্ড শীতে জবুথবু মানুষগুলোও শীতকে উপেক্ষা করে শীতের পিঠা খেতে ছুঁটছে দোকান-রেস্তোরায়।

বারো মাসে তেরো পার্বণের আমাদের এই বাংলাদেশে এখন শীতকাল। একেক পার্বণকে ঘিরে যেমন নানান আয়োজন করা হয়, তেমনি বাঙালির ঘরে ঘরে এ শীতের কুয়াশা ভেজা সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা আর পুলির আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যগতভাবেই। শীতের এই পিঠে উৎসবকে ঘিরে শহরের চিত্রটাও ভিন্ন।

নাগরিক ব্যস্ততা আর যান্ত্রিক সভ্যতার কারণে এখন আর যেমন বারো মাসে তেরো পার্বণ হয় না, তেমনি ইচ্ছে থাকলেও এখন আর মানুষ ঘরে বানানো পিঠা খেতে পারছে না। আর শহরবাসীর এই শীতকালীন রসনা বিলাসে তাই রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমে ওঠে বাহারি পিঠার পসরা। দোকানীরা পিঠা বানয়ে স্বাদ মিটায় শহরের মানুষের।তেমনি ধানের জেলা দিনাজপুরের অলিতে গলিতে, মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে এসব শীতের পিঠার দোকান।

অফিসগামী কিংবা বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে তাই অনেককেই দেখা যায় পিঠা খেতে। আর শহরবাসীর রসনার তৃপ্তি মেটাতে গিয়ে এক শ্রেণির মানুষের উপার্জন হচ্ছে এখান থেকেই।যা তাদের জীবনযাপনে সাহায্য করে। শুধু যে কর্মজীবী মানুষরাই এই পিঠা খেয়ে থাকেন, তা কিন্তু নয়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তার ধারের পিঠার দোকানের উপর নিভর্রশীল হয়ে উঠছে দিনকে দিন। তাইতো গাড়ি থামিয়ে রাস্তা থেকে ভাপা কিংবা চিতই পিঠা কিনতেও দেখা যায় অনেককে। আবার কেউ কেউ কর্মস্থল শেষ করে ফিরতি পথে পরিবারের সদস্যদের জন্যও পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে,ভাঁপা (ভাকা)পিঠা, তেলের (অন্দশা) পিঠা,নুন (নুনিয়া) পিঠা, পাটি সাপটা পিঠা, চিতই (চিতুয়া),পিঠা,পানি পিঠাসহ নানান বাহারী পিঠা উল্লেখযোগ্য।

দিনাজপুর শহরের মালদহপট্রি সাধনার মোড় সংলগ্ন পিঠার দোকানে আসা পিঠা ক্রেতা মজিবর রহমান জানালেন,তার স্ত্রী শারমিন বাজারের পিঠা খেতে ভালোবাসেন। তাই তিনি ভাপা পিঠা প্রায়ই কেনেন। তাছাড়া বাড়িতে এখন পিঠা তৈরি করা সম্ভব হয় না। পথের ধারের পিঠাই ভরসা।

১৯ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করেন বাস ষ্ট্যান্ড এলাকার মজিবর। তিনি জানান, নারিকেল কুরি ও খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা। দামও বেশ হাতের নাগালেই। ভাপা পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন ২ শতাধিক পিঠা বিক্রি হয় তাঁর। দিনে তিনি লাভ প্রায় ৩’শত টাকা।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন