পিএনএস ডেস্ক: গত এপ্রিল মাসে হাওরে স্মরণকালের বড় দুর্যোগ নেমে এসেছিল। পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওরের ফসল তলিয়ে যায়। হাওরবাসী এখনো সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এখনো হাওরের মানুষ সংকটকাল অতিক্রম করছে। তারা খাদ্য সংকট মোকাবেলা করছে। অনেক অবস্থাপন্ন পরিবার দিনে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে।
শনিবার পল্টনে কমরেড মনি সিং ট্রাস্ট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন হাওর এ্যাডভোকেসী প্লাটফর্মের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শরিফ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্প্রতি চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি তাদের নতুন সংকটে ফেলেছে। আমরা অনেকে জানি, বছরে দুইবার অর্থাৎ কার্তিক ও চৈত্র মাসে হাওরের মানুষ তীব্র খাদ্য সংকট মোকাবেলা করে। আমরা আশঙ্কা করছি, এবারে ব্যপক ফসলহানি আগামী চৈত্রে সেই সংকট আরো বাড়িয়ে দেবে। এছাড়া ভিজিএফ কার্যক্রম অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ওএমএস কার্যক্রম গতি হারিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে পড়ায় তার অনিবার্য প্রভাব পড়ছে হাওরবাসীর জীবনে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছরের অসময়ে পাহাড়ি ঢল অন্যান্য সময়ের চেয়ে এবার তাদের নিঃস্ব করেছে। এবারে ফসলহানির ভয়াবহতা ও প্রতিক্রিয়া অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সেটা আমরা আগেই জেনেছি। বাংলাদেশের হাওরাঞ্চল মাছ, বোরো ধান, প্রকৃতি ও প্রাণ বৈচিত্রের জন্য পরিচিত। এরা জীবিকার জন্য ধান ও মাছের উপর নির্ভর করে। গত বছরের বিপর্যয়ের পরে হাওরবাসীর সেই সংকট মোকাবেলায় তাদের পাশে থাকার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল সেটা রক্ষা করা হয়নি। হাওরবাসী এই সংকট থেকে তাদের বাঁচাবার জন্য যে সহায়তা চেয়েছিল সেটা তারা পায়নি। তারা ধান ফলায়, সেই ধান তারা যেমন নিজেদের জন্য রাখে আবার আমাদের খাদ্য ভাণ্ডারে যুক্ত করে।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
হাওরের মানুষের এখনো সংকটকাল
14-01-2018 07:50AM