রংপুরে খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় সাত জেএমবি সদস্যের ফাঁসি

  18-03-2018 01:05PM


পিএনএস, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় সাত জেএমবি সদস্যকে ফাঁসি এবং ছয়জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

রবিবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী, একই এলাকার জেএমবি সদস্য ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়ার চরের সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুল, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি, দিনাজপুরের বিরামপুরের সরোয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান এবং চান্দু।

এদের মধ্যে মাসুদ রানা, ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া এবং সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুলকে রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ও খালাসপ্রাপ্ত সবাই কারাগারে আছেন।

এছাড়া মামলা থেকে খালাস পাওয়া ৬ জন হচ্ছেন সাদাত ওরফে রতন, তৌফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ, রাজিব, মামুন মাস্টার ও নজিবুল ইসলাম।

এ মামলার ১৩ জন আসামির সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। রায়ের সময় আদালতে ১১জন আসামী উপস্থিত ছিলেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি রথিশ চন্দ্র জানান, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধূপুর বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে জঙ্গিরা রহমত আলীকে জবাই করে। চাঞ্চল্যকর এই মামলা তদন্ত শেষে ১৩ জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। আসামিদের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজন এখনও পলাতক।

কারাগারে বন্দি ১১ জঙ্গি হলো— ইছাহাক আলী , লিটন মিয়া, সরওয়ার হোসেন , সাদাত ওরফে রতন, তৌফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি এবং বাবুল আখতার। পলাতক রয়েছে নজিবুল ইসলাম ও চান্দু মিয়া।

এই মামলার বাদী নিহত রহমত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামসহ ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। গত ৪ মার্চ মামলার বাদী ও আসামি পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক আজ (রবিবার) মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন