হাতীবান্ধায় প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে সহকারী শিক্ষক হাসপাতালে

  20-03-2018 04:40PM

পিএনএস, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ও দুই সহকারী শিক্ষকের বেদম পিটুনিতে আজিজার রহমান নামের একজন বিপিএড শিক্ষক গুরতর আহত হয়েছে। আহত ওই শিক্ষক বর্তমান হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুধু তাই নয় এ ঘটনায় শিক্ষক আজিজার রহমানের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন ওই স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যরা। তাদের চাপে মঙ্গলবার সকালে গোপনে এসে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ওই শিক্ষক।

সোমবার স্কুল চলাকালীন সময়ে উপজেলার রমনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে ।অভিযুক্ত আহসান উল আলম রমনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আক্তারুজ্জামান সিজান ও খলিলুর রহমান ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তবে সহকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামান সিজান এলাকায় ইয়াবা সিজান নামে পরিচিত।

মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতর গিয়ে দেখা যায়, আহত শিক্ষক আজিজার রহমান পিটুনির ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ও কেটে গেছে। বিশেষ করে তার বাম চোখ ফুলে কালো হয়েছে ও রক্ত জমাট বেধেছে।

এ সময় শিক্ষক আজিজার রহমান বলেন, আমি দীর্ঘ দিন দলে ওই স্কুলে চাকুরী করছি। তবে ওই স্কুলের শিক্ষকের চাকুরী ছাড়াতে বিভিন্নভাবে আমাকে মানসিক ও শারীরীকভাবে নির্যাতন চালান স্কুল প্রধান শিক্ষক আহসান উল আলম ও সহকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামান সিজান। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক আহসান উল আলম ও সহকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামান সিজান বেদম পিটুনি দেয়। তাদের পিটুনিতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় আমি প্রাণে বেঁচে যাই। তাদের হুমকি ধমকির কারণে অতি গোপনে মঙ্গলবার সকালে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এ দিকে মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, আজিজার মানুসিক রোগী নয়, বরং তার উপর হামলাকারী আক্তারুজ্জামান সিজান একজন ইয়াবা কারবারী। সে এর আগে ইয়াবার চালান সহ হাতে নাতে পুলিশের নিকট ধরা পড়েছেন। সে মামলাটি বর্তমান চলমান। ওই আক্তারুজ্জামান নেশাগ্রস্ত হয়ে শিক্ষক আজিজারের উপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে রমনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান উল আলম বলেন, সহকারী শিক্ষক আজিজার রহমান একজন মানসিক রোগী। তাকে স্কুল না আসার জন্য বার বার বলা হয়েছে। তবুও সে নিয়মিত স্কুলে আসে পাগলামী করে। তার পাগলামীতে স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অতিষ্ট। সোমবার আমার উপর হামলা চালার চেষ্টা চালালে সহকারী দুই শিক্ষক আক্তারুজ্জামান ও খলিলুর রহমান আমাকে রক্ষা করে। এ সময় হয়তো তিনি একটু আঘাত পেয়েছেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার আলী শাহ্ জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছুই জানায়নি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন