কালীগঞ্জে ৮ গ্রামের একমাত্র চলাচলের পথ বাঁশের সাকো

  20-03-2018 08:46PM

পিএনএস, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় চলবলা ইউনিয়নের ৮ গ্রামের প্রায় ৩০হাজার মানুষ বাশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীদের।

জানা গেছে, উপজেলার বারাজান গ্রামের ডোবা নদীর ওপর প্রায় ১৬ বছর আগে এ সুইস গেট নির্মাণ করা হয়। সাম্প্রতিক বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে সুইস গেট গেট সংলগ্ন সড়কটি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে চলবলা মদনপুর, সোনারহাট, বান্দের কুড়া, দুহুলী, বারাজান ও সুকানদীঘি এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এই এলাকার মানুষের কেউ জীবনের ঝুকি নিয়ে সাঁকোতে করে পার হচ্ছে আর কেউ বা হাটু পানিতে নেমে পার হচ্ছে।

এদিকে ৮গ্রামের ৫ শতাধিক স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ওই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার বারাজান এসসি উচ্চবিদ্যালয়, বারাজান নয়া মহাবিদ্যালয়, তেঁতুলিয়া দাখিল মাদরাসা, উত্তর বাংলা কলেজ, দুহুলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং অপর দিকে বান্দেরকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বান্দেরকুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মদনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে।

কলেজ শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম জানান, আমরা এই এলাকা থেকে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী এই বাশের সাঁকো দিয়ে পার হই। তারপর স্কুল কলেজে যাই। বাশের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ন হলেও কোন কিছুই করার নেই। কারন স্কুল কলেজতো যেতেই হবে। আর যদি এ জায়গায় সড়ক তৈরি করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীসহ সর্ব স্তরের মানুষ সস্তি ফিরে পাবে। ওই এলাকার রেজাউল করিম শাহীনসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এ রাস্তাটি দিয়ে কয়েক গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ উপজেলাসহ জেলা শহর এমননি বিভিন্ন জরুরী কাজে বাইরে যায়। ওই সব মানুষই নয় অনেক সময় অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে গিয়ে রোগীর পরিবারকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই এর দ্রুত সমাধান করলে এমন দুর্ভোগ থেকে সকলেই মুক্তি পাবেন।

ওই এলাকার কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, রাস্তা না থাকায় ভ্যান বা কোন যানবাহন এই এলাকায় আসতে পারে না। ফলে আমাদের উৎপাদিত সবজি থেকে সকল প্রকার ফসল আমরা বাজারে নিতে পারি না। অনেক কষ্ট করতে হয়। আর পাইকার এসে নিয়ে গেলে তারা অনেক কম দামে নিয়ে যায়। ফলে আমাদের তেমন মুনাফা হয় না। রাস্তাটি সংস্কার হলে আমাদের আর লোকসান গুনতে হবে না।

এ বিষয়ে চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানান, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এর মধ্যে কথাও বলেছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে। তারা বরাদ্দ পাঠালে কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা পারভেজ নেওয়াজ খান জানান, গত বন্যায় সড়কটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাজেটে পেলে সড়কটির দ্রুত সংস্কার করা হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন