ধুলার দখলে ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা সড়ক; চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ

  23-03-2018 04:47PM

পিএনএস, (খন্দকার শাহিন,নরসিংদী) : বাংলাদেশের একমাত্র বস্ত্র শিল্প খ্যাত শহরের নাম নরসিংদীর মাধবদী বাবুরহাট। এ হাটে উত্তরবঙ্গের ক্রেতা-বিক্রেতা ও পার্শ্ববর্তী জেলা শহর থেকে যাতায়াত করে হাজার হাজার জনসাধারণ। নরসিংদী জেলায় প্রবেশ মূখে সড়ক সংস্কার জন্য ধুলার দখলে রয়েছে ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা সড়ক, তাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ি ও জনসাধারণদের।

২৩ মার্চ শুক্রবার সরজমিনে দেখা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা থেকে ঢাকা-টঙ্গি সড়কের ঘোড়াশাল শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার সড়কটি সংস্করণ কাজ চলায় পুরো সড়কেই ধুলাময় হয়ে গেছে। ধুলার কারণে সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।

এছাড়াও সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকায় ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিয়ে সময় লাগছে দুই থেকে তিন ঘন্টা। সড়কের আশপাশের ঘর-বাড়ি, দোকান আর গাছপালাও এখন ধুলায় ছেয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময় ধুলায় কিছুই দেখা যায় না। এমনকি নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় চালক ও যাত্রীদের। সড়কের সংলগ্ন স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করা ও মসজিদে নামাজ আদায় করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সড়কের পাশের বেশির ভাগ পরিবারের সদস্যরা শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান তারা। সড়কের কয়েকটি স্থানে নাম মাত্র পানি দিয়ে ভিজিয়ে কিছু সময়ের জন্য ধুলা নিবারণ করলেও সেটা কোনো কাজে আসছে না।

পাঁচদোনা থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি অটোরিক্সা চালক নজরুল ইসলাম ও পিকআপ ভ্যানের চালক সেলিম মিয়া জানান, সামনে থাকা যানবাহন চলে গেলে পেছনের যানবাহনের চালক ধীর গতিতে যান চালিয়ে থাকেন। এতে সময় বেশি লাগছে। তাছাড়া ধুলার কারণে সামনে প্রায় ২৫/৩০ গজ গিরে কিছুই দেখা যায় না। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে আমাদের।
উত্তর বঙ্গের হাজি খালেক ব্যাপারী পিএনএস জানান, প্রতি সপ্তাহে বাবুর হাটে কেনাকাটার জন্য আসতে হয়। সব পথ পারি দিয়ে ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা অতিক্রম করতে সময়ে বিঘ্ন ঘটে। তাছাড়া এ রাস্তায় অতি মাত্রায় ধুলা-বালিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে শারীরিক অসুস্থ হয়ে পরছে।

পাঁচদোনার ভাটপাড়া এমসি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বরুণ চন্দ্র দাস জানান, এই সড়কের পাশে ভাটপাড়া এমসি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কের ধুলাবালি ও যানযটের কারণে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া এই সড়কের ধুলাবালি শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে পাঠদানে বিঘ্ন হচ্ছে। প্রতিদিনই দুই চারজন শিক্ষার্থীর অসুস্থতার ঘটনাও ঘটছে। সড়কে নিয়মিত পানি ছিটানোর কথা বললেও ঠিকাদাররা এর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

এসব বিষয়ে নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল সড়কের কাজ গত ডিসেম্বর মাসে চালু হয়। আশা করছি আগামী সেপ্টম্বরের দিকে এর কাজ শেষ হবে। ধুলাবালির বিষয়ে তিনি জানান, রাস্তা নির্মাণের কাজ চললে একটু আকটু ধুলাবালি ও যানযট লাগবেই।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন