নোয়াখালীতে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, প্রেমিক পলাতক

  24-03-2018 09:58PM

পিএনএস, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়ন থেকে গাছের সাথে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নবম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী স্বপ্না আক্তারের (১৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চর আমিনুল হক গ্রামের তেরিজপোল এলাকার হাবু মিয়ার বাড়ির বাগান থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ছাত্রী ওই বাড়ির আবদুস ছালামের মেয়ে এবং ওবায়দিয়া সুলতানিয়া দারুস সালাম মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী।

স্বপ্নার মা রাশেদা বেগম জানায়, তার মেয়ে স্বপ্না মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার সময় তাদের প্রতিবেশী নুর ইসলামের ছেলে মাকসুদুর রহমান (২২) স্বপ্নাকে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে। গত এক বছর যাবৎ তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথাও হতো।

তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে স্বপ্না তার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে। রুমে প্রবেশের পর মোবাইলে কথোপকথনের শব্দ শোনা যায়। পরে রাত ১টার দিকে স্বপ্না ঘরের দরজা খুলে বাহিরে যায়। এসময় রাশেদা বেগমের চোখে ঘুম চলে আসে।

পরে শনিবার ভোরে বাড়ি লোকজন বাড়ির আঙ্গিনায় স্বপ্নার মৃতদেহ একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে চরজব্বর থানার পুলিশকে খবর দেয়।

এদিকে, প্রেমিক মাকসুদুর রহমান মাদ্রাসা ছাত্রী স্বপ্নাকে মোবাইলের মাধ্যমে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি করছেন স্বপ্নার পিতা আবদুস ছালাম।

এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর থেকে মাকসুদ পলাতক রয়েছে এবং তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় মোড়লদের মাধ্যমে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানান, খবর পেয়ে তিনি পুলিশের সাথে উপস্থিত থেকে লাশ উদ্ধারে সহযোগিতা করেন। স্বপ্না ও মাকসুদুর রহমানের প্রেম আলাপের বেশ কিছু রেকডিং সহ স্বপ্নার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুলিশ জব্দ করেছে বলেও তিনি জানান।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন