আখাউড়ায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

  26-05-2018 09:16AM



পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মোঃ রাকিবুর রহমান রকিব: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আখাউড়ায় উপজেলা কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আখাউড়া মনিয়ন্দ নোয়ামুড়ায় গত ৪ মে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোষ রফার চেষ্টায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে বলে ধর্ষিতার পিতা জানিয়েছেন।

ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা জানায়, ঠেলাগাড়িতে করে মাছ বিক্রি করে তার পরিবারের সদস্যদের জীবন চলছে। গরিব অসহায় নিরীহ হওয়ায় কাউকে কিছু বলারও তার ক্ষমতা নেই। এ অবস্থায় ৪ মে রাত সাড়ে ৯টায় তার কিশোরী কন্যা ঘর থেকে বের হলে একই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কাউছ মিয়ার পুত্র রবিউল (২০) জোরপূর্বক ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন তার কিশোরী কন্যাকে উদ্ধার করে এই নরপশুর কবল থেকে।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পরের দিন ৫ই মে সন্ধ্যায় স্থানীয় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল ভুইয়া, ইউপি সদস্য রেজাউল স্থানীয় সরদার শিশু মিয়া, আলমগীর, জালালসহ শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উস্থিতিতে টনকী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ নিয়ে একটি সালিশি সভা হয় কিন্তু এই ঘটনা নিষ্পত্তি হয়নি। এই অবস্থায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো পাষন্ড রবিউলের বাবা কাউছ মিয়া তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। পরে কোথাও বিচার না পেয়ে গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল নং-৩ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলা গ্রহন করে আখাউড়া থানায় পাঠায়। আজ বিকালে আখাউড়া থানায় মামলাটি রুজু হয়।

তিনি আরো জানান, পাষন্ড রবিউলের বাবা কাউছ মিয়া একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক মামলায় গত তিনদিন আগে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

রবিউলের বাবা কাউছ মিয়া কিংবা রবিউলকে ফোনে পাওয়া যায়নি। কাউছ মিয়ার বোন মনিয়ন্দ ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বিনা বেগম (৪০) জানায়, তার ভাইয়ের ছেলে রবিউলকে ফাসানোর জন্য যড়যন্ত্র হয়েছে। তার ভাই কাউছ মিয়া একটি মাদক মামলায় নারায়গঞ্জ জেলহাজতে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে মনিয়ন্দ ইউপি সদস্য রেজাউল জানায়, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ নিষ্পত্তির চেষ্টা হয়েছে কিন্তু রবিউলের বাবা কাউছ মিয়া রাজী হয়নি।

স্থানীয় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল ভুইয়া জানায়, ছেলে আর মেয়ের মধ্যে প্রেম ছিল। প্রেম থেকেই এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন তার পরিষদের মেম্বার রেজাউল ছেলে আর মেয়েকে মৌলভী দিয়ে বিয়ে পড়ায় কিন্তু ছেলের বাবা কাউছ মিয়া তা মানতে রাজি নয়। পরে সন্ধ্যায় সালিশি সভা হয়। সালিশির রায়ও তামিল করেনি ছেলের বাবা। পরে হয়রানী করার জন্য গরিব অসহায় কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দায়ের করে।

এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ওসি তদন্ত আরিফুল আমিন জানান, ধর্ষনের অভিযোগে আজ বিকালেই থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। রবিউলকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলবে বলেও তিনি জানান।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন