গাইবান্ধায় বিপণী বিতানগুলোতে দেশীয় কাপড়ের অধিক বিক্রি

  12-06-2018 03:40PM

পিএনএস, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে গাইবান্ধার মার্কেটগুলো। অনেক্ েইতোমধ্যে সেরে ফেলেছেন কেনাকাটা। তবে বাজারমুখী মানুষের ঢল কমেনি। বিপণী বিতানগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটার ধুম। ভারতীয় কাপড়ের চাহিদা থাকলেও এবার দেশি কাপড়েরর বিক্রি বেশি বলেও জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধার শহরের সুপার মার্কেটের কাপড়ের দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পরে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়। ক্রেতারা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হলেও ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠতে শুরু করেছে বাজার। তবে ব্যবসায়িরা জানায়, কেনাকাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে ২০ রোজার পর থেকে। এবার ভারতীয় কাপড়গুলোতে পেছনে ফেলে বাজার দখল করেছে দেশীয় সুতি কাপড়। গরমের কারণে দেশি সুতি থ্রি পিসগুলো সবার পছন্দ ও বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। সমানতালে বিক্রি হচ্ছে ইন্ডিয়ান গাউন ও কাজ করা লং ফ্রোক। এছাড়াও টু-পার্ট, ফোর-পার্ট কুর্তি, জিপসি, সারারা, ফোর-পিস ও অরগেন্ডি বিক্রি হচ্ছে ভালই।

দেশি সুতি থ্রি পিসগুলো বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ২ হাজারের মধ্যে। অপরদিকে ভারতীয় গাউন, লাসা কাপড়সহ বিভিন্ন ধরণের থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায়। লং ফ্রোক বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়। চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ছেলেদের ক্যাটালোক পাঞ্জাবি, বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৮শ’টাকার মধ্যে।

এছাড়াও জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্টের পাশাপাশি কালার শার্ট ফুলশার্ট, চেক শার্ট, এক কালার শার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। টপ, স্কার্ট, ফ্রকওরয়েছে ছোটদের পছন্দের তালিকা।

সালিমার সুপার মার্কেটের একজন বিক্রেতা বলেন, ক্রেতার চাহিদা অনুসারে আমরা দেশি বিদেশি দুই অনুসারে আমরা দেশি বিদেশি দুই ধরণের পোশাকই বিক্রি করছি। সন্ধ্যার পর থেকে ক্রমেই ক্রেতা বাড়ছে। এবারের ঈদে বেচাকেনা ভালই হবে বলেই বিক্রেতারা আশা করছেন। এবার টাঙ্গাইল শাড়ি ৬শ’ টাকা থেকে ৯শ’টাকা, জর্জেট শাড়ি ১২শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, সিল্ক শাড়ি দেড় হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও এমব্রয়ডারি, ব্লক, হাতের কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট ও কারচুপির কারুকাজ এসব শাড়িতে এনেছে এক বাহারি সৌন্দর্য।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন