শেরপুরে পুলিশিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ

  12-06-2018 06:31PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১২জুন) শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য আঙ্গুরী বেগম এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, উপজেলার খন্দকারটোলা গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি রুবেল শেখ ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিতি খোরশেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দুই মাদক সন্ত্রাসীর কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই তাদের এহেন অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। ফলে সহসায় বিচার-মিমাংসার নামে বাদি ও বিবাদি পক্ষসহ এলাকার সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি দাবি অনুযায়ী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বসতবাড়ির গরু-ছাগল লুটে নেয়া হচ্ছে। এরপরও বরাবরেই তারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে এই চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই এবার সরকারি উন্নয়নমূলক কাজেও বাঁধার সৃষ্টি করেছে।

ইউপি নারী সদস্য আঙ্গুরী বেগম অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী খন্দকারটোলা দক্ষিণপাড়া এলাকায় মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরীর উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই রাস্তায় ইটের সোলিং করার জন্য টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই টাকায় রাস্তার কাজ শুরু করা হলে তার কাছে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই দুই মাদক সন্ত্রাসী। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা নানাভাবে রাস্তার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পাশাপাশি নানা হুমকি-ধামকি দেয়া অব্যাহত রেখেছেন। বিশেষ করে আমার ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের পরিকল্পনা করছেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঈদের পর আমার প্রাণনাশ করারও হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ইউপি সদস্য আঙ্গুরী বেগম বলেন, দেশে মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। এরপরও খন্দকারটোলা এলাকা মাদক মুক্ত হয়নি। মাদক ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফলে জমজমাটভাবে চলছে মাদক ব্যবসা। তাই অনেকটা নির্বিঘেœ চলা এই মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুলিশসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত রুবেল শেখের মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম তাদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, তারা মাদকসহ কোন অন্যায় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নেই। মূলত রাস্তা সংস্কারের কাজে নয়ছয় করেন ওই নারী সদস্য। তার এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে রফিকুল ইসলাম দাবি করেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন