মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি

  17-06-2018 04:49AM

পিএনএস, মৌলভীবাজার :মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ঢলের পানি হাকালুকি ও কাউয়াদিঘী হাওরে গিয়ে পড়ায় হাওরের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ১৫ জুন থেকে কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার ১৬ জুন সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

মনু নদীর ভাঙনগুলো দিয়ে ১৩ জুন থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রচন্ড বেগে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর জানান, মনু নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত না কমলে শুধু মনু নদীর ভাঙন কবলিত এলাকার পরিস্থিতিসহ সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে মনু নদীর রাজনগর উপজেলায় ওয়াপদা এলাকায় সৃষ্ট ভাঙনে মনসুর নগর ইউনিয়ন শতভাগ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া কুলাউড়া উপজেলায় নতুন কোন ভাঙন সৃষ্টি না হলেও বন্যার পানিতে নতুন করে আরও দুটি ইউনিয়ন রাউৎগাঁও ও ব্রাহ্মণবাজার প্লাবিত হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন জানান, ঢলের পানিতে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ৩টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার অবস্থান করছে।

রাউৎঘাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, কমলা টিলা এলাকায় সৃষ্ট ভাঙনের পানি পৃথিপাশা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে রাউৎগাঁও ইউনিয়নকে প্লাবিত করছে। ভাঙনের পানিতে ২০-২৫টি ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। সাড়ে ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি আছে। ইউনিয়নের গ্রামগুলোর মধ্যে বনগাঁও, আব্দা, হুতারকান্দি, তিলাশীজুরা, নর্তনের একাংশ, শ্রীরামপুর, মইষাজুড়ী এবং কৌলার একাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌ. মো. গোলাম রাব্বি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে ক্যাপ্টেন আয়াজ এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল দুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে শনিবার অর্থাৎ ঈদের দিন ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়ার থেকে নির্বাচিত আব্দুল মতিন এমপি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন