বগুড়ার শেরপুরে ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর

  19-07-2018 06:53PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঘরে ঘরে সর্দি, জ্বর দেখা দিয়েছে। গেল দুই সপ্তাহ ধরে এই উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সব বয়সের ব্যক্তি সর্দি-কাশির পাশাপাশি প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে ভিড় করছেন এই এসব রোগে আক্রান্ত রোগিরা। হঠাৎ করে রোগির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের জানান, আষাঢ় মাস পার হয়ে শ্রাবণ মাস শুরু হয়েছে। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই সিজোনাল ভাইরাসের কারণে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি ও জ্বর হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া রোগীদের চাপ বাড়লেও তাদের চিকিৎসার কোন সমস্যা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে বলে এই কর্মকর্তা দাবি করেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পৌরসভাসহ ১০ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামগুলোর ঘরে ঘরে সর্দি, জ্বর ও কাশি রোগ দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব এলাকার কোন না কোন গ্রামের নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশুরা সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ছুটছেন। পাশাপাশি ওষুধ কিনতে পৌরশহরের দোকানগুলোতেও ভিড় করছেন তারা। ফলে এসব দোকানে সর্দি-জ্বরের ব্যাপক ওষুধ বিক্রি হয়েছে।

উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এক সপ্তাহ আগে থেকে শরীরে জ্বর বাসা বাঁধে। পরবর্তীতে সর্দি-কাশি ও জ্বর প্রচণ্ড আকার ধারণ করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে সপ্তাহ দুয়েক পর জ্বর কমে গেছে। তবে পরিবারের অন্যরা ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী আবার এসব রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। একই কথা বলেন উপজেলার তালতা গ্রামের নুরুল ইসলাম, ভাদড়া গ্রামের সুজাবত আলী, হামছায়াপুর গ্রামের বেলাল হোসেন, মামুরশাহী গ্রামের শাহাদত হোসেন, বাগড়া গ্রামের আবু বকর ছিদ্দিকসহ একাধিক ব্যক্তি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আসমা মেডিকেল মডেল ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী মোকাররম হোসেন রবি জানান, উপজেলার গাড়ীদহ, কুসুম্বী, খানপুর, খামারকান্দি, শাহবন্দেগী, মির্জাপুর, সুঘাট, সীমাবাড়ী ও ভবানীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কখনো কখনো হাত পা ব্যথাও হচ্ছে। এসব রোগের কথা জানিয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে তার দোকানসহ বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিনই ওষুধ কিনতে আসছেন রোগীরা।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন