বেনাপোল-পেট্টাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু

  26-09-2018 12:04PM


পিএনএস, বেনাপোল থেকে এম এ রহিম: অবশেষে দীর্ঘ ৭ দিন পর মঙ্গলবার সন্ধায় বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের বন্দর ব্যাবহারকারীদের মধ্যে সমঝোতায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি সুরাহে উভয় দেশের ৮ সদস্য নিয়ে ১৬সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধায় ১৩ ট্রাক কাচা মাল ও ২ ট্রাক ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পন্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর আবারও লিংক সমস্যার কারনে বন্ধ হয়ে যায় পন্য আমদানি রফতানি বানিজ্য। ফলে দু’পার বন্দর সড়কে আটকেহাজারও পন্যবাহি ট্রাকের জট লেগে থাকে। দ্রুত সময়ে আমদানি-রফতানি সচল করা হয় বলে জানান কাষ্টম কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন বুধবার সকাল ১১টা থেকে পুরোদমে শুরু হয় আমদানি রফতানি। রাত দিন কাজ করে কর্মবিরতির ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিকসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য বনাপোল স্থলবন্দরে আমদানীকৃত পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের সাথে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্নন সংগঠনের সাথে আমদানীকৃত পণ্য ট্রাক থেকে নামানো সংক্রান্ত বিষয় এবং বকশিষের নামে হয়রানী ও দূর ব্যবহারের প্রতিবাদে তিন দফায় গত ৭ দিন কর্মবিরতি পালন করে ভারতের পেট্টাপোল বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি রফতানি। অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় বেনাপোল বন্দরে। ৫ দফা দাবী আদায়ে কর্মবিরতি পালন করে তারা।

তাদের দাবি ছিল পন্য খালাসের পর কাটা ছেড়া পণ্যর অভিযোগে অতিরিক্ত অর্থ দাবি বন্ধ, চার চাকা ৮০০ টাকা, ছয় চাকা ১ হাজার ২০০ টাকা, দশ চাকা ১ হাজার ৭০০ টাকা, বার চাকা ২ হাজার টাকা, বার চাকার উর্ধ্বে ২ হাজার ৩০০ টাকা পরিশোধ করা হবে না। পার্কিং চার্জ ব্যতিত কোন অর্থ কর্মচারীদের কাছে দেবে না তারা। এসব বিষয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ, কর্মচারী ইউনিয়ন বন্দর ও কাষ্টম কর্মকর্তারা সমঝোতার ভিত্তিতে এক মত পোষণ করেন।

দুটি কমিটি দু’দেশর মধ্যে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক আমিনুল ইসলাম। বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য লোড আনলোডিংয়ের কাজ পুরোদমে চলছে বলে জানান তিনি।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন