পাইকগাছায় ১৪৯ দুর্গা মন্দিরে সরকারি অনুদান বিতরণ

  15-10-2018 07:36PM

পিএনএস, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সোমবার সকালে ১৪৯ দুর্গা মন্দিরে সরকারি অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না'র সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য নূরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. স ম বাবর আলী, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা রমেন্দ্র নাথ সরকার, সমিরণ কুমার সাধু, রবীন্দ্র নাথ রায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল। আনন্দ মোহন বিশ্বাসের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মন্দির কমিটি ও পূজা পরিষদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রাণকৃষ্ণ দাস, উত্তম সাধু, সুনিল মন্ডল, সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ, বি সরকার, টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল, হেমেশ মন্ডল, দেবব্রত রায়, বাবুরাম মন্ডল, পিযুষ সাধু, গৌতম মন্ডল, সুভাষ রায়, পরিমল মন্ডল, দ্বিজেন মন্ডল ও ইউপি সদস্য বিপুল মন্ডল প্রমুখ।

উল্লেখ্য সভায় মণ্ডপ প্রতি সরকারি ১১ হাজার ও এমপি মহদয়ের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ হাজার মোট ১২হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নে ১৪৯টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে পৌরসভা ৭টি, হরিঢালী ২০টি, কপিলমুনি ১৯টি, লতা ১৩টি, দেলুটি ১৪টি, সোলাদানা ১০টি, লস্কর ১৭টি, গদাইপুর ৫টি, রাড়–লী ২০টি, চাঁদখালী ১২টি ও গড়াইখালী ইউনিয়নে ১২টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে সোমবার ব্যাপক উৎসব মূখর পরিবেশে মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাক-ঢোল, কাঁশি আর বাঁশি সুরে মহাষষ্টি পূজা সমাপ্তি হয়েছে। মঙ্গবার সপ্তমী পূজা। মণ্ডপগুলোতে করা হয়েছে রকমারি আলোকসঞ্জা। নেওয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পূজা আয়োজক কমিটি মনে করছেন সম্প্রীতির মেলবন্ধনে অন্ন্যন দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এ উপজেলায় অতিতের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণ ভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।


উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস জানান, উপজেলায় ১৪৯টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বারের তুলনায় এবার ৬টি মণ্ডপে পূজা বেশী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা পরিষদের উপজেলা কমিটির সভাপতি সমীরন সাধু জানান, যে সমস্ত মণ্ডপ গুলিতে লোক সমাগম বেশী হয় এবং বাজার কেন্দ্রীক সেগুলিকে অতিগুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা সভাপতি রবীন্দ্র নাথ রায় জানান, এখনও পর্যন্ত উপজেলার কোনো মণ্ডপে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সর্বত্রই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতোমধ্যে এলাকায় পুলিশী টহল আরো জোরদার এবং মণ্ডপগুলোতে নজরদারীর বাড়ানো হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপ কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে মণ্ডপ পাহারা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর শুক্রবার দশমীবিহিত পূজা সমাপনান্তে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্যেমে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠিকতা শেষ হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন