কচুয়ায় তিন কৃষি জমিতে মৎস্য খামারের চেষ্টা, কৃষকদের বিক্ষোভ

  19-11-2018 05:56PM

পিএনএস, আফাজ উদ্দিন মানিক (কচুয়া) : কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর আদর্শ আড়ং'য়ের পশ্চিম পার্শ্বের বিলে তিন ফসলি কৃষি জমিতে মৎস্য খামার করার চেষ্টা চালাচ্ছে এমনি অভিযোগে স্থানীয় বর্গাচাষী কৃষকরা সোমবার (১৯ নভেম্বর) এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় -শ্রীরামপুরের ওই বিলটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার হত দরিদ্র কৃষকরা একর প্রতি ১৪/১৫ হাজার টাকায় বর্গাচাষী হিসেবে ফসল ফলিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি শ্রীরামপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া পাটোয়ারি বাড়ির আলী আকবরের পুত্র আব্দুল মালেক জমির মালিকদের একর প্রতি ৪০/৫০ হাজার টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে চাষীদের তিন ফসলি জমিতে মাছ চাষের চেষ্টা করছে।

এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় কৃষকরা শ্রীরামপুর আদর্শ আড়ং এলাকায় বিক্ষাভে মিছিল করে।এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করে।

স্থানীয় কৃষক সেলিম, খলিল, মফিজ, হাসানাত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন- আমরা এলাকার হতদরিদ্র কৃষক। আমরা জমির মালিকদের কাছে সন কার্তি (বার্ষিক) একর প্রতি ১৪/১৫ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি।কিন্তু আমাদের এ ফসলি জমিতে মাছ চাষ হলে এলাকার প্রায় ২০০ কৃষক পরিবার না খেয়ে মারা যাবো।

উপজেলা কৃষিবিদ আহসান হাবিব জানান- তিন ফসলি জমিতে মৎস্য চাষতো দূরের কথা বাড়ি করারও অনুমোদন নেই। কোনো জমির মালিক যাতে এ জাতীয় কৃষি জমিতে মৎস্য চাষ বা বাড়ি না করে সরকার এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন প্রনয়ন করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ এ বিষয়ে অবহিত হয়ে বলেন- তিন ফসলি জমিতে মৎস্য চাষ করার কোনো সুযোগ নেই।ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ সত্যতা খুজে পেলে প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল মালেক বলেন- বর্গাচাষী কৃষকদের অভিযোগ সঠিক নয়।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন