ঝালকাঠিতে প্রতিবন্ধী পূনর্বাসনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই

  08-12-2018 05:02PM

পিএনএস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে প্রতিবন্ধী রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার যদিও এ পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে ১০ হাজারেরও কম এর মধ্যে ভাতা প্রপ্তের সংখ্য প্রায় ৬ হাজার। এই বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধীর শিক্ষা, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের সুযোগ খুবই সীমিত। জেলায় সরকারি ভাবে অন্ধদের জন্য একটি স্কুল, একটি প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বেসরকারি সংগঠন সুইড বাংলাদেশ এর পরিচালনায় একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল রয়েছে এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে আরো চারটি স্কুল চালু থাকলেও সরকারি সহায়তা অর্থাৎ এমপিও ভুক্ত রয়েছে একটি। বাকিগুলো চলছে শিক্ষক কর্মচারীদের স্বেচ্ছা শ্রমে। এসব স্কুলের প্রয়োজনীয় উপকরণ জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিচালকরা।

ঝালকাঠিরে চারটি উপজেলার প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি এরমধ্যে সরকারি স্বীকৃতি রয়েছে ৯ হাজার ৭৮৮ জনের আর ৭০০ টাকা হারে মাসিক ভাতা পায় মাত্র ৫ হাজার ৬২১ জন। এই বিপুল সংখ্য প্রতিবন্ধীর শিক্ষার জন্য জেলায় সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে বিদ্যালয় রয়েছে ৭টি। যার মধ্যে একটি অন্ধদের জন্য সরকারি বিদ্যালয় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বেসরকারি সংগঠন সুইড বাংলাদেশ এর পরিচালনায় একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে আরো চারটি স্কুল চালু থাকলেও সরকারি সহায়তা অর্থাৎ এমপিও ভুক্ত রয়েছে একটি। এসব প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ হলে ৫০০ জনের শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। বাকী বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী বেড়ে উঠছে অবহেলায়, অনাদরে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। প্রতিবন্ধী পরিবারগুলোর আয় সামান্য হওয়ায় ঠিকমত পরিচর্যা কিম্বা খাবার এবং পোষাক পরিচ্ছদ যোগানো সম্ভব হচ্ছে না। এদের কাছে প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় এই শ্লোগানটি পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটির মতো মনে হয়। এদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে কিছু কিছু বেসরকারি সংস্থা সরকারি বেসরকারি সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঝালকাঠি সমাজসেবা উপ-পরিচালক স্বপন কুমার মুখার্জী জানান, প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন কাজটি চলমান রয়েছে এবং প্রতিবছর নতুন করে শতকরা ২১জন ভাতা প্রাপ্তির তালিকায় যোগ হয়।

জেলায় প্রতিবন্ধীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, বিভিন্ন কুসংস্কার, গর্ভকালীন প্রয়োজনীয় খাদ্য না পাওয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিতে পারে। এটি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা জরুরী।

জেলায় মোট প্রতিবন্ধীর তুলনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যে কয়টি রয়েছে সেগুলোও সরকারি সহায়তা বঞ্চিত। প্রতিবন্ধী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সরকার এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন