পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : আজিজুল হকের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে কেয়া আক্তার টপির। একপর্যায়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তারা। এমনকি বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হন। কিন্তু তাদের এই বিয়ে উভয় পরিবার মেনে নিতে অসস্মতি জানায়। আর এতেই অভিমান করে প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামে।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় বছরখানেক আগে থেকে উপজেলার উঁচুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এক সন্তানের জনক আজিজুল হকের সঙ্গে পাশের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে এক সন্তানের জননী কেয়া আক্তার টপির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় যান। সেখানে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। কয়েক মাস সংসারও করেন। এরপর চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতেই বাড়ি আসেন। কিন্তু তাদের এই বিয়ে উভয় পরিবার মেনে নিতে অসম্মতি জানায়। পরবর্তীতে এনিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিস বৈঠক করা হলেও সমঝোতা হয়নি। এতে ক্ষোভ ও অভিমান করে গত রোববার (১৩জানুয়ারি) রাত অনুমান ১০টার দিকে বাড়ির পাশের অবস্থিত একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সামনে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এই প্রেমিক যুগল। একপর্যায়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদের বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কেয়া আক্তার টপিকে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার (১৪জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজিজুল হক। শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হবে।
পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল
শেরপুরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
14-01-2019 07:36PM