পৈলানপুরে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

  22-01-2019 09:03PM

পিএনএস ডেস্ক : পাবনার পৈলানপুর এলাকায় অটো রিকশা স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অরিন হোসেন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
নিহত অরিন হোসেন পৈলানপুর মহল্লার হাসান আলী ভুট্টু প্রামানিকের ছেলে। তিনি পৈলানপুর মোড়ে অবস্থিত অটোবাইক স্ট্যান্ডের চেইনম্যান হিসাবে কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, পৈলানপুর মোড়ে অটোবাইক স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক হাজী শরিফ গ্রুপ এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন অন্ধ ভিক্ষুকসহ চারজন আহত হয়। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অরিনের অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে অরিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে পৈলানপুর মোড়ে ইয়াকুব আলী স্মৃতিসংঘ ক্লাবসহ কয়েকটি দোকান ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক হাজী শরীফ বলেন, পৈলানপুর এলাকার কিছু চিহিৃত সন্ত্রাসী ও পাবনার চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার কেসের আসামিরা বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের চেষ্টা করছিল। আমি তাদের দলে নিতে বাধা প্রধান করি এবং বিষয়টি স্থানীয় এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্সকে অবহিত করি। এরপর থেকে এসব চিহিৃত সন্ত্রাসী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহায়তায় আওয়ামী লীগে যোগদানের চেষ্টা করছিল। তারাই মূলত আমার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ইয়াকুব আলী স্মৃতিসংঘ অফিস এবং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ৮/১০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে চারজন আহত হলে অরিনকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যায়।

নিহত অরিন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেন হাজী শরীফ। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রথমে হাজী শরিফ গ্রুপের ছেলেরা তার সমর্থক যুবলীগ কর্মী আল আমিনকে ছুরিকাঘাতসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত আল আমিনকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে তার কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কেউ থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেফতার করা হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন