সুন্দরগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিজেই অসুস্থ্য

  17-02-2019 03:57PM

পিএনএস, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে বৃহত্তম এই উপজেলা পরিষদ। এরতে রয়েছে কম পক্ষে ৬ লক্ষ মানুষের বসবাস। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন তিস্তা নদী বেষ্টিত।

উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব ৫০ কিমি। উপজেলাটির উত্তরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হানপাতাল যার দূরত্ব ৫০ কিমি,দক্ষিনে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল যার দূরত্ব ৪৫কিমি। ৬ লক্ষ মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এবং ৬ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স।

২০১৫ সালে ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয় এই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটি। কিন্তু প্রয়োজনিয় ডাক্তারের সংখ্যা আজও পূরণ করা হয়নি। যার কারণে প্রতিদিন হাজারো রোগী চিকিৎসা নিতে এসে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অকালে প্রাণ দিতে হচ্ছে অনেকের। এখনো চরাঞ্চলে সনাতন পদ্ধতির মাধ্যমে পানি পড়া,তাবিজ-কবজ,কবিরাজের ঝার ফুক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। কোটি টাকার যন্ত্র পাতি থাকলেও ডাক্তার সংকটের কারণে অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভাব হচ্ছে না। সে কারণেই মূল্যবান সম্পদ নষ্টহতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটি বর্তমানে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সরেজমিন স্বাস্থ কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখাগেছে জরুরি বিভাগ ও বহি বিভাগে উপচেপড়া রোগীর ভির। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় সেবাপ্রদানে চরম বেঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইয়াকুব আলী মোড়লের সাথে। তিনি বলেন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে মেডিক্যাল অফিসারের পদ ২৪ টি থাকলেও তিনিসহ কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৬ জন। উপ-কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের পদ ১৭ টি থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২ জন। ফার্মাসিষ্টের পদ ১৭ টি থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১ জন। ২২ টি নার্সের পদের মধ্যে রয়েছে ১৬ জন। এছাড়া স্বাস্থ্যসহকারী ও অন্যান্য পদ মিলে মোট ৭২ টি পদ শূণ্য রয়েছে। সার্জারী ডাক্তার না থাকায় অপারেশন থিয়েটার বন্ধরয়েছে দীর্ঘ দিন থেকে। একটি মাত্র এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও প্রতিনিয়ত সেটা গ্যারেজে নিতে হচ্ছে।

প্রয়োজনিয় সংখক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় বেশীর ভাগ রোগীকে রেফার্ট করা হচ্ছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ডাক্তার রাকিবুল ইসলাম,বিশ্বের চন্দ্র সরকার, আশরাফুজ্জামান সরকার,আবু হেনা আশরাফুল ইসলাম ও শরিফ-উল ইসলাম। নেই কোন আবাসিক মেডিকেল অফিসার। ৫ জন মেডিকেল অফিসার পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখাগেছে ৫০ জনেরো অদিক রোগী রয়েছে। তবে ল্যাট্রিন সমুহ ব্যবহারের যোগ্য নয়।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন