সরাইলে অবৈধ দখল, ছবি তোলায় সাংবাদিকদের ওপর চটে গেলেন বিএনপি নেতা

  19-02-2019 07:29PM

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা সরেজমিন ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা মোঃ আবদুল মমিন মাস্টার চটে যান। এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের হাত ধরে টানাটানি করেন। সাংবাদিকদের সাথে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণও করেন।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরাইল উপজেলার পানিশ্বর বাজারে জনসম্মূখে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দ্বীন ইসলাম বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তা তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, পানিশ্বর বাজার এলাকায় সরকারি একটি মূল্যবান জায়গা দখল করে সেখানে ওই বিএনপির নেতার ভাই আবদুল হামিদ একাধিক পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছেন। স্থানীয় লোকজন ও ভূমি অফিসের লোকেরা বাধা দিলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে সেই সরকারি জায়গায় পাকা ভবন তৈরীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকরা ছবি তুলেন। এসময় খবর পেয়ে বিএনপি নেতা আবদুল মমিন এসে ছবি তোলার কারণ জানতে চান এবং সাংবাদিকদের ওপর তিনি চটে যান। নানা কথাবার্তার ফাঁকে তিনি দু’একজন সাংবাদিকের হাত ধরে টানাটানি করেন। এসময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, কে অভিযোগ করেছে, সাহস থাকলে আমার সামনে এসে বলুক। আমি তাকে দেখে নিব। ভূমি অফিসার এসেছিলেন। তিনি আমাকে কাজ করার অনুমতি দিয়ে গেছেন।

এদিকে স্থানীয় লোকজন জানান, আবদুল মমিন স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিঃ সহকারি শিক্ষক। তার নেতৃত্বেই ওই সরকারি জায়গা দখল করা হয়েছে। তিনি এখানকার সামাজিক প্রভাবশালী একজন মাতাব্বরও। যেকারণে নিয়মিত স্কুল না করলেও তার সুযোগ সুবিধা ঠিকই থাকে। তাছাড়া তিনি অধিকরাত পর্যন্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষ খুলে রেখে দলীয় কার্যক্রম সহ সামাজিক নানা কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন এখানে।

এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আবদুল্লা আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, পানিশ্বর বাজারের ওই দখলের খবর পেয়ে সোমবার আমি দফতরের লোক পাঠিয়ে বাধা দিয়েছি। কিন্তু তারা বাধা না মেনে, সেখানে পাকা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় লোকদের বলেছি ওই দখলের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিতে। এতে আমাদের ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়। কারণ পানিশ্বরের আবদুল মমিন মাস্টার বদমেজাজি একজন মানুষ। এভাবে বাধা দিতে গেলে তিনি আমার পেছনে লেগে যাবেন।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন