নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তানোরে চলছে আলু সংরক্ষণ কার্যক্রম

  20-03-2019 05:15PM

পিএনএস, তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা : শ্রম আইন ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজশাহীর তানোর উপজেলার হিমাগারগুলোতে চলছে আলু সংরক্ষণ কার্যক্রম। বস্তায় ৫০ কেজির পরিবর্তে রাখা হচ্ছে দ্বিগুণ পরিমাণ আলু। এতে উপযুক্ত তাপমাত্রার অভাবে আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সাথে লোড-আনলোডের সময় বিপাকে পড়তে হচ্ছে হিমাগার শ্রমিকদের। বিষয়টি স্বীকার করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বস্তায় ৫০ কেজির পরিবর্তে রাখা হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০’ কেজির বেশি আলু। এই বাড়তি ওজন পরিবহন করতে বাধ্য হচ্ছেন উপজেলার হিমাগার শ্রমিকরা। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না শ্রম আইন ও আদালতের নির্দেশনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বস্তা হিসেবে হিমাগার ভাড়া ও শ্রম-মজুরি নির্ধারণ হওয়ায় প্রতিটি বস্তায় দ্বিগুণ পরিমাণ আলু রাখছেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
একজন শ্রমিক বলেন, ‘এখানে ৮৫ কেজি ৯০ কেজি ৯৫ কেজি যখন যা ইচ্ছা তা বহন করতে হয়। ১০০ কেজির বস্তা ওঠানো যায়! আমাদের অনেক কষ্ট হয়।’ হিমাগার কর্মচারীদের একজন বলেন, আমরা ৫০ কেজির বেশি আলু বস্তায় সংরক্ষণ করি না।

এ বিষয়ে অনেক হিমাগার মালিক এ প্রতিবেদককের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, কেউ কেউ বলছেন, আদালতের নির্দেশনা মানতে গিয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

উপজেলার তামান্না পটেটো কোল্ড স্টোরেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসনিম হোসেন বলেন, কিছু কিছু জায়গায় আগের মতই বড় বস্তা নিচ্ছে। কিন্তু আমরা যারা আইন মেনে ৫০ কেজির বস্তা ঢোকাচ্ছি তাদের লোকসান হচ্ছে।

আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের বিষয়ে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বছর শ্রম আইন অনুযায়ী হিমাগারে লোড-আনলোড এবং উপযুক্ত তাপমাত্রা রক্ষার স্বার্থে প্রতি-বস্তায় ৫০ কেজির বেশি আলু রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত। তানোর উপজেলার ৫টি হিমাগারে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন আলুর ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন