স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষকে গণপিটুনি

  26-03-2019 09:25PM

পিএনএস ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ঘিলাছড়া স্কুল এন্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ একেএম মজিবুর রহমানকে গণপিটুনি দিয়েছে ছাত্র-জনতা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়ারানির অভিযোগ তুলে ওই ছাত্রী।

পরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করে। এ সময় অধ্যক্ষ মুজিবুর তার অফিস কক্ষে ছিলেন। বেলা ২টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা দরজা ভেঙে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে তাকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দুপুরে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠায়।

অভিযোগের ব্যাপারটিকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে অধ্যক্ষ একেএম মজিবুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে ওই ছাত্রীর কোলে থাকা একটি বাচ্চাকে সরল মনে আদর করেছিলাম। কিন্তু পূর্ব শত্রুতা মিটাতে একটি পক্ষ এটিকে যৌন হয়রানি হিসেবে রঙ লাগিয়ে আমার উপর আক্রমণ চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও কিছু শিক্ষার্থীর সাথে স্কুলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল আমার। এটাকে তারা সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুল ক্যাম্পাসে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীর কোলে থাকা শিশুকে আদর করতে হাত বাড়িয়ে দেন অধ্যক্ষ একেএম মজিবুর রহমান। এতে ওই ছাত্রীর শরীরে হাত লাগে এবং অধ্যক্ষ তাকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জানায়। ছাত্রীর মুখ থেকে অধ্যক্ষ কর্তৃক তাকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ শোনার পর উত্তেজিত হয়ে পড়েন তারা।

খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে কক্ষে ঢুকে অধ্যক্ষকে গণপিটুনি দেয় তারা।

দোয়ারবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস বলেন, অধ্যক্ষ কর্তৃক এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টির ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত জানতে পরিনি।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, খবর শোনার পর পুলিশ গিয়ে উত্তেজনা নিরসন করে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষের বক্তবই শুনিনি। বুধবার এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন