পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মোঃরাকিবুর রহমান রকিব : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইল উপজেলা জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহের দিনে সরাইল ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের চেয়ারে বসে রোগীদের প্রেসক্রিপসন দেন ব্রাদার মাছুম মিয়া। এসময় তিনি দাবি করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশেই তিনি রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের বকুল বেগম (৩৫) জরুরি বিভাগে এসেছেন জ্বর ও পেটের ব্যাথা নিয়ে। তাছাড়া গত চার মাস পর তার ঋতুস্রাব হয়েছে। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণে তিনি জ্বর, পেটে ব্যাথা সহ নানা সমস্যায় ভুগছেন কয়েকদিন যাবত। তার স্বাস্থ্যের সকল সমস্যা শুনে ব্রাদার মাছুম তাকে ব্যবস্থাপত্রে কিছু ওষুধ লিখে দেন।
পুরো চিকিৎসার বিষয়টি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ক্যামেরা বন্দির পর জানতে চাইলে ব্রাদার মাছুম মিয়া দাবি করেন, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশেই জরুরি বিভাগে রোগী দেখেন প্রেসক্রিপশন দেন নিয়মিত। তবে ব্রাদার মাছুম জানান, এভাবে রোগীর প্রেসক্রিপশন দেওয়া শুধু অনিয়ম-ই নয়, এটি স্বাস্থ্য বিধি বর্হিভূত।
এদিকে রোগীর সাথে থাকা স্বজনরা যখন জানতে পারেন চিকিৎসকের চেয়ারে বসে প্রেসক্রিপশন দেওয়া মাছুম চিকিৎসক নন, তখন তারা বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ শুরু করেন এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস কক্ষে যান। সেখানে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরা ভীড় জমান। এসময় অনেকে মন্তব্য করেন “এই হাসপাতালের চিকিৎসা যেন মৃত্যুর ফাঁদ”।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজী মোঃ আইনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে ব্রাদার দিয়ে রোগীর প্রেসক্রিপশন দেওয়া হচ্ছে। ছোটখাট সমস্যায় তারা রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি আমি দিয়েছি। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন এর মৌখিক অনুমোদন নেওয়া আছে। তবে রোগী বকুল বেগম যে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন, তা আমি রোগীর মুখেই জেনেছি। রোগীর এসব সমস্যায় ব্রাদার মাছুম প্রেসক্রিপশন দেওয়ার অনুমতি নেই। সে তার সীমানা লঙ্ঘন করেছে, তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল
সরাইল ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেসক্রিপশন দেন স্বাস্থ্য সহকারী নার্স ব্রাদার
16-04-2019 08:35PM