পিএনএস ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় গার্মেন্টকর্মী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গণধর্ষণের পর এক বাড়িতে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। রবিবার দুপুরে পুলিশ ওই অভিযান চালিয়ে তরুণীসহ তার বন্ধুকে উদ্ধার ও বান্ধবীসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও গার্মেন্টকর্মীর পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার গার্মেন্টকর্মী তরুণী (১৮) বন্ধু শামীমকে নিয়ে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ আরাফাত নগরে মৌসুমী নামের বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। সন্ধার পর তিনজন মিলে ফতুল্লার বক্তাবলীতে বুড়িগঙ্গার তীরে ঘুরতে যায়। ওই সময়ে ৬ থেকে ৭ জন তাদেরকে আটক করে বক্তাবলীতে একটি ইটভাটায় নিয়ে শামীমকে আটকে রেখে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তবে সঙ্গে থাকা বান্ধবী মৌসুমী ছিল অক্ষত। পরে ধর্ষকেরা তরুণীকে মৌসুমীর বাড়িতে আটক করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। এতে গার্মেন্টকর্মীর মা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। ওই জিডির সূত্রধরে রবিবার দুপুরে মৌসুমীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকেসহ আরো এক যুবককে আটক করে। উদ্ধার করা হয় তরুণী ও তার বন্ধু শামীমকে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
পিএনএস/জে এ
বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী
09-06-2019 09:34PM