বকশীগঞ্জে বন্যার পানি বাড়ছে , প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে ইউএনও

  14-07-2019 07:26PM

পিএনএস, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দশানী নদীর তীরবর্তী ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা গুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে করে মানুষের মধ্যে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির ফলে সাধুরপাড়া , মেরুরচর, বগারচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের একাংশ প্লাবিত হয়েছে। এতে করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মদনের চর ও তালতলা গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে এই এলাকার মানুষ। মদনেরচর গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যেতে পারছে না।

বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে কুতুবের চর, উত্তর আচ্চা কান্দি, বিলের পাড়, বালু গাঁও , বাঙ্গাল পাড়া, চর কামালের বার্তী, শেখ পাড়া, বাচ্চা গাঁও, আইরমারী, মেরুরচর ইউনিয়নের চর আইরমারী, ভাটি খেওয়ারচর, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, পূর্ব কলকিহারা ও বেতমারী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকা প্লাবিত হওয়ায় রোপা আমনের বীজতলা ও সবজির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যার্তদের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে কোন ত্রাণ সহায়তা করা হয় নি। তবে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ-রি-কল ২০২১ প্রকল্পের উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে বন্যা বন্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন সচেতনতা দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বন্যা মোকাবেলায় লাইফ জ্যাকেট, বয়া বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে রি-কল ২০২১ প্রকল্পের ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে নামানো হয়েছে।

অপরদিকে কয়েক দিনের টানা বষর্নের ফলে পাহাড়ি ঢলে বাট্টাজোড় ও ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের শতাধিক মৎস্য খামার প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। মৎস্যচাষীদের হিসাব মতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ পাহাড়ি ঢলের কারণে ভেসে গেছে। এতে করে মৎস্য চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে।

এদিকে ১৪ জুলাই রোববার বিকালে সাধুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর ও ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনের জন্য পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান মাহবুব খান, মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জেহাদ।

বন্যা সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন