পিএনএস ডেস্ক: গাইবান্ধার সাঘাটায় স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে জখম ও গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মথরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য চৌকিদারসহ ঘটনাস্থল গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। দুটি সন্তানও রয়েছে। সুখের সংসারে চেপে বসে পরকীয়ার ভূত। তিন বছর আগে স্বামী তাজিরুল ইসলামের সঙ্গে পাশের বাড়ির এক মেয়ের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি স্ত্রীর কাছে ফাঁস হওয়ায় মনোমালিন্য শুরু হয়। এক পর্যায়ে একতরফা তালাক দিয়ে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তাজিরুল। পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে আবারও তাকে বাড়িতে তোলেন। তবে থেমে থাকেনি পরকীয়া সম্পর্ক। স্ত্রীর সামনে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে ফোনালাপ করেন তাজিরুল। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর ওপর চলে নির্যাতন। টানা তিন বছর বিভিন্নভাবে চলা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করে দুই মেয়ের টানে সংসার করছেন ওই গৃহবধূ।
আর সহ্য করতে না পেরে পরকীয়ার বিষয়টি থানায় জানানোর কথা বলে প্রতিবাদ করতে গেলে আজ দুপুরে তাজিরুল তার স্ত্রীকে মুখ চেপে ধরে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
বিষয়টি চারদিকে জানাজানি হলে এলাকাবাসী সেখানে ভিড় করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য চৌকিদারসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূরকে উদ্ধার করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী তাজিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুন নবী জানান, ঘটনাটি শোনার পরে আমি দ্রুত ঘটনাস্থালে যাই এবং গৃহবধূকে উদ্ধার করি। গৃহবধূর মা-বাবাকে ডেকে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসার ব্যবস্থা করা হবে। তা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হবে।
পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম
গাইবান্ধায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত
11-10-2019 11:44PM