নেতৃত্ব বাছাইয়ে লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্ট নিচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ

  20-10-2019 05:23PM

পিএনএস, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ছাত্রলীগে যোগ্য নেতা বাছাইয়ের জন্য পদ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্ট নিচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ। কমলনগর উপজেলা ও হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজে ২৩ জন পদ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্টে অংশ নিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আর্দশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন র্কমকান্ড, ছাত্রলীগের ইতিহাস আদর্শ, স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং সমসাময়িক রাজনীতি বিষয়ে ওপর ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দু'টি ইউনিটের ২৩ জন পদ প্রার্থীর ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর এ দুটি ইউনিটের সম্মেলনের আগে লিখিত পরীক্ষা ও ডোপ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজসহ মোট ১৫টি ইউনিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাস জুড়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা খুশি। নেতৃত্বে আসতে আগ্রহী ও যোগ্য নেতা নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া ও ডোপ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ।

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ অক্টোবর চন্দ্রগঞ্জ থানায়, ২৯ অক্টোবর রায়পুর উপজেলার রায়পুর পৌরসভা ও রায়পুর সরকারি কলেজে, ৭ নভেম্বর রামগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ পৌরসভা ও রামগঞ্জ সরকারি কলেজে, ১৪ নভেম্বর রামগতি পৌরসভা ও রামগতি সরকারি কলেজে, ২৪ নভেম্বর দত্তপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে, ২৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ বলেন, ছাত্রলীগে মেধাবী, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ লালন করে ও দেশের ইতিহাস জানে এমন নেতৃত্ব নিশ্চিত করতেই লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। মাদকসেবীরা যাতে কোনোভাবেই নেতৃত্বে আসতে না পারে সে জন্য ডোপ টেস্ট কারা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগে যারা নেতৃত্বে দিবে তাদের হতে হবে মেধাবী ও মাদকমুক্ত।

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু জানান, বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের এ পদক্ষেপের কারণে মাদকাসক্তদের নেতৃত্বে আসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। এছাড়া যারা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী তারাও নেতৃত্বে আসতে পারবে না। যারা আওয়ামী পরিবারে সন্তান তারাই শুধু নেতৃত্বে আসবে। কারণ তারা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সর্ম্পকে জানে।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ভুলু জানান, বর্তমানে জেলা ছাত্রলীগ যে প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচন করছে এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে এ প্রক্রিয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সমন্বয়ে করলে আরও ভালো হতো।

লক্ষ্মীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রফেসর মাহবুব মোহাম্মদ আলী জানান, সম্প্রতি বুয়েট ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের ভাবমূর্তির সংকট দেখা দিয়েছে। কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যন্ত এর প্রভাব পড়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ যেভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করছে এটা দৃষ্টান্তমূলক। সারাদেশ এ পদ্ধতি গ্রহণ করলে ছাত্রলীগে মেধাবী ও মাদক মুক্তরাই নেতৃত্বে আসবে।

পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন