উড়ে গেছে টিনের চাল; ভেতরে এতিম শিশুদের কোরআন তিলাওয়াত

  12-11-2019 12:51AM

পিএনএস ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বিধ্বস্ত সাতক্ষীরার উপকূল এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। তছনছ হয়ে গেছে উপকূলীয় এলাকার ৫০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি। দিশেহারা উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সবাই এখন নিজের শেষ আশ্রয়টুকু সংস্কার কাজে ব্যস্ত।

উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নও বিধ্বস্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে। আশ্রয়হীন মানুষগুলো এখন আশ্রয়স্থল বানাতে ব্যস্ত।

এই ইউনিয়নের পাতাখালি গ্রামে অবস্থিত ফরমান আলি হাফিজিয়া মাদরাসা। ঝড়ে মাদরাসার টিন উড়ে গেছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে গিয়ে দেখা যায়, ২০ জন শিশু কুপির আলোতে কোরআন তিলাওয়াত করছে। দূর থেকে তাদের কোরআন তিলাওয়াতের শব্দ শোনা যায়।

একই গ্রামের বাসিন্দা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা খানম বলেন, বুলবুলের আঘাতে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছে কয়েক হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন পথে বসেছে অনেকেই। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নিম্ন পরিবারের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। কেউবা কুপির আলোয় আবার কেউবা মোমবাতির আলোতে রাতের কাজকর্ম সারছেন। পার্শ্ববর্তী মাদরাসার ছাত্ররা কুপির আলোতে কোরআন তিলাওয়াত করছে।

তিনি বলেন, এই মাদরাসায় ২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে মাদরাসার টিনের চাল উড়ে গেছে। এদের মধ্যে কেউ এতিম আবার কারো কারো মা-বাবা থাকলেও অসহায়।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রভাষক ও স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, বেড়িবাঁধ নষ্ট না হওয়ার কারণে অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে রাতে সমস্যায় পড়ছে উপকূলীয় মানুষ। ঝড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া, বৃষ্টির পানিতে ফসল ও মাছের ঘের নষ্ট হয়েছে।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সন্তোষ কুমার সাহা বলেন, এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। দুর্যোগের পরে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া যেসব স্থানে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যেই চালু করা হবে।

পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন