মোরেলগঞ্জে সিডরের ক্ষত শুকাতে না শুকাতে“বুলবুলের” আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি

  15-11-2019 04:13PM

পিএনএস, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি : আজ সেই দুঃসহ স্মৃতি বিজরিত ভয়াল ১৫ নভেম্বর। ২০০৭ সালের এই দিনে সুপার সাইক্লোন সিডর আঘাত হানে উপকূলীয় এলাকায়। সিডরের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এর স্মৃতিচিহ্ন আজও বয়ে চলেছে প্রতিটি জনপদে। সিডরের ক্ষত শুকাতে না শুকাতে গত ১০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় “বুলবুলের” আঘাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নে ১ হাজারের বেশি বসত ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি ঘর। ব্যপক ক্ষতি হয়েছে আমন ফসলের ।

সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া, মোরেলগঞ্জ সদর, নিশানবাড়িয়া, বারইখালী, চিংড়াখালী ও পৌরসভা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিংড়াখালী ইউনিয়নে মোকছেদ আকনের একটি মাছ ধরা ট্রলার ডুবেগেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের ১ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুতের সংযোগ। বুলবুল আঘাত হানার রাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ৩ দিনের ব্যবধানে শহর এলাকায় বিদ্যুৎ চালু হলেও শহরের বাইরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র ওই রাত থেকেই বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে। ৫০ টির বেশি বিদ্যুতের খুটি ভেংগে গেছে। শহর ছাড়া উপজেলা সম্পূর্ণ এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, ২৬ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমির আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩ টি কলেজ ও ২৫ টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮৫ কিলোমিটার রাস্তা ধসেগেছে। ১ হজার ৫৪০ টি মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসেগেছে।

চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলি আক্কাস বুলু জানান, চিংড়াখালী ইউনিয়নে ৫ শতাধিক কলা চাষির প্রায় ২ লাখের বেশি কলাগাছ, পানের বরজ ও বাও কুল চাষিদের বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলার ৮৩ টি সাইক্লোন সেল্টারে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল যার কারনে কোন প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার সরবরাহ না থাকায় অনেক সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় প্রার্থীরা খাবার পাননি এমন অভিযোগ রযেছে। সরকারি ভাবে ১৩০ বান ঢেউটিন ও ৩ হাজার করে নগদ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন