পিএনএস ডেস্ক: সিঙ্গাপুরে তিন বাংলাদেশি নারীকে পাচার করে বিনা বেতনে নাইটক্লাবে নাচানোর পাশাপাশি জোর করে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে এক ভারতীয় দম্পতির বিরুদ্ধে। তাদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। দেশটির নতুন মানবপাচার আইনের আওতায় এটিই প্রথম মামলা।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে’র খবরে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে মানবপাচার আইন কার্যকর হয়েছে। আর এতদিন পর মানব পাচারের অভিযোগে প্রথম যে মামলাটি এসেছে তা নিপীড়নের শিকার তিন বাংলাদেশি নারীর।
এই তিন বাংলাদেশি নারীকে মাসিক ৬০ হাজার টাকা বেতনের কথা বলে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যান সিঙ্গাপুর প্রবাসী ভারতীয় দম্পতি। সিঙ্গাপুরে তাদের নাইটক্লাব রয়েছে। সিঙ্গাপুরে নিয়ে এই তিন বাংলাদেশি নারীর পাসপোর্ট ছিনিয়ে বিনা বেতনে প্রতিদিন নাইটক্লাবে নাচতে বাধ্য করা হয়। এর মধ্যে একজনকে জোর করে দেহ ব্যবসা করানোরও অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিত এই তিন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিঙ্গাপুর সরকার। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ওই ভারতীয় দম্পতির সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হবে। এতে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল ও বেত্রাঘাতের সাজা দেওয়া হতে পারে।
মানবপাচার বিরোধী সংগঠনগুলো বলছে, এই দৃষ্টান্তমূলক সাজার ফলে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতে যাচ্ছে। মানবপাচার বিরোধী সংগঠন হাগার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান মাইকেল চিয়াম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘চাকরিদাতাদের কখনোই ভাবা উচিত নয় যে মানবপাচার ও এমন অপরাধ করে তারা আইনকে ফাঁকি দিতে পারবে।’
সিঙ্গাপুরে একই আইনের আওতায় আরও দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে মোট ৫৬ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১০ লাখ বাংলাদেশি, চীনা ও বার্মিজ অভিবাসী শ্রমিক রয়েছে।
পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম
বাংলাদেশি নারীকে দেহ ব্যবসায় নামিয়ে অভিযুক্ত ভারতীয় দম্পতি
20-11-2019 04:21PM